ছবি : মেসেঞ্জার
আফরোজা বেগম ও শামছুল হক দম্পতির দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ ভালই চলছিল সংসার। স্বামী করতেন রাজমিস্ত্রীর কাজ। তবে সেই ভাল দিন বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি আফরোজা বেগম। তিন বছর আগে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামী শামছুল হক।
স্বামীকে হারানোর পর গেলো এক বছর আগে আফরোজার দুটি কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়। এরপর তার জীবনে আকাশ ভেঙে নেমে আসে কালো অন্ধকার। সাজানো গুছানো সংসার যেনো ভেঙে চুরমার। আফরোজ অসুস্থ হওয়ার পর স্বামীর বাড়ি হতে চলে আসে ভাইয়ের বাড়িতে। এখন তার চিকিৎসার ভার পড়েছে সেই ভাইয়েরই উপর।
আফরোজা বেগম কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ছোট কুষ্টারী এলাকার আলি হোসেন মেয়ে। অসুস্থ এই আফরোজা বেগমের সপ্তাহে দু’বার ডায়ালইসিস করতে ও সংসার চালাতে এখন হিমশিম খাচ্ছেন তার ভাই ফারুক মিয়া।
বোনের চিকিৎসাভার এখন ভাইয়ের উপর। ভাই ফারুক মিয়া পেশায় মোবাইল মেকানিক। বোনের চিকিৎসা চালাতে গিয়ে হয়েছেন সর্বশান্ত। তিনি বোনকে বাঁচাতে বিত্তবানদের নিকট সাহায্য চেয়েছেন।
ফারুক মিয়া জানান, বোনের স্বামীর মৃত্যুর পর ২ সন্তানকে নিয়ে আমাদের কাছে থাকেন আফরোজা। কিন্তু প্রায় ১ বছর আগে কিনডি সমস্যা দেখা দেয়ায় বর্তমানে সপ্তাহে দু’বার ডায়ালইসিস করতে হয়। বোনের চিকিৎসা আর সংসার চালাতে চালাতে আমি হিমশিম খাচ্ছি, কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই আমি সমাজের সমাজ সেবক মানুষসহ সকল মানুষের কাছে সাহায্য চাচ্ছি, আমার বোনের ও তার ২ সন্তানের দিকে লক্ষ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সহায়তা করতে।
আফরোজা বর্তমানে কিডনী রোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কিডনী বিভাগ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অধ্যাপক ডা. এ বি এম মোবাশ্বের আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎধীন রয়েছেন।
আফরোজার নিকট সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা বিকাশ-০১৩০৭৩২৪৬৮৭ (আফরোজা)। ও মোছা. আফরোজা বেগমের অগ্রহী ব্যাংক চিলমারী শাখা সঞ্চয়ী হিসাব নং ০২০০০২২৪৭৪২৫১।
মেসেঞ্জার/রাফি/তারেক