ছবি : মেসেঞ্জার
পাবনার চাটমোহরে দুই দিনে পৃথক দুই এলাকা থেকে ২ জন শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ও শনিবার উপজেলার ছাইকোলা ও ডিবিগ্রামের ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুই পরিবারেরই দাবি, তারা ‘অভিমানে আত্মহত্যা’ করেছে। আর পুলিশ বলছে ময়নাতদন্তের পর সবকিছু বলা যাবে। এ দু’টি ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে চাটমোহর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ুয়া কল্পনা রানী খাতুনের শোবার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনরা জানান, কল্পনা খাতুন নিজ ঘরে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু তার ছয় বছর বয়সী চাচাতো ভাই তাকে বার বার বিরক্ত করছিল।
পরে কল্পনা তার চাচাতো ভাইকে ঘর থেকে বের করে দিলে চাচীর সাথে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে কল্পনার মা তাকে বকাবকি করলে অভিমানে নিজের শোবার ঘরের ডাবের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
অন্যদিকে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ছাইকোলা উত্তরপাড়া গ্রামের সামাউন ইসলামের ছেলে আলী মরতুজা নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীরও ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয় তার শোবার ঘর থেকে।
স্বজনরা জানান, আলী মরতুজা পড়ালেখার চেয়ে খেলাধূলায় মনোযোগী বেশি হওয়ায় মা-বাবা তাকে শুক্রবার রাতে বকাঝকা করেন। এরপর রাতের খাবার না খেয়ে অভিমানে শোবার ঘরের ডাবের সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জরুল আলম বলেন, পুথক দুই এলাকা থেকে দুই জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি অপমুত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান ওসি।
মেসেঞ্জার/পবিত্র/তারেক