ছবি: মেসেঞ্জার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার পাশে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে দুই যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আজিমনগর এলাকা থেকে দুই ধর্ষণকারীকে আটক করেছে। দুপুরে ১৪৪ ধারা জবানবন্দির জন্য তাদেরকে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন কুুলসুম বেগম বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। গণধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রী গোপালগঞ্জের মোকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
আটককৃত ধর্ষণকারী দুই যুবকরা হচ্ছে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঘোষ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মো. জুয়েল রানা (৩১) ও একই এলাকার মতিউর রহমান (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ওই কলেজ ছাত্রী ডাক্তার দেখানোর জন্য ফরিদপুরে যায়। সেখানে তার পূর্ব পরিচিত শিলা নামের এক মহিলা তাকে ফুসলিয়ে ভাঙ্গা থানার পাশে গ্রীন হাসপাতালের উপরে তিনতলায় শিল্পী আফরোজীর ফ্লাটে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থানরত দুই যুবক ওই মহিলার সহায়তায় রাতভর কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। পরদিন বিষয়টি মেয়েটি তার পরিবারের কাছে জানায়। এর দুইদিন পর তার বড় দুই বোনের সহায়তায় গত ৭ ডিসেম্বর রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা করেন। ৮ তারিখে ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং পুলিশের কাছে ২২ ধারা ভিকটিম জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোকসেদুর রহমান জানান, গত ৭ ডিসেম্বর ভাঙ্গা থানা এলাকায় কাকলি আক্তার নামের ১৭ বছর বয়সের এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েল ও মতিউর নামে দুই যুবককে অভিযান চালিয়ে আটক করেছি। তারা দু’জন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে তাদের দুই জনকে ১৬৪ ধারা জবানবন্দির জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর বোন বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা করেছে।
মেসেঞ্জার/নাজিম/তুষার