ছবি : মেসেঞ্জার
টানা তিন দিন ধরে ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে তাপমাত্রার পারদ। এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এতে করে তীব্রশীতে নাজেহাল পরিস্থিতিতে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। শীতবস্ত্রের অভাবে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারন চেষ্টা করলেও শীতে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন শীতজনিতে রোগ ব্যাধিতে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। (১৩ ডিসেম্বর) থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ডে এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
ভোরেই দেখা মিলেছে ঝলমলে রোদ। কুয়াশা না থাকলেও হাড়কাঁপছে কনকনে শীতে। শীতের তীব্রতায় দূর্ভোগে পড়েছেন উত্তরজনপদের সাধারণ মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাব ও আয় রোজগার কমে যাওয়ায় দূর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ।
তবে সকালে রোদ দেখা যায় বেড়েছে কর্মচাঞ্চল্য। তবে ভোর-সকালে কনকনে শীতের প্রকট থাকলেও জীবিকার তাগিদে বরফগলা নদীতে পাথর তুলতে যেতে দেখায় পাথর শ্রমিকদের।
শিশির ঝরা চা পাতা তুলতে বাগানে কাজ করতে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। পাথরের সাইটে কাজে যেতে দেখা যায় নারী-পুরুষ শ্রমিকদের। তারা জানাচ্ছেন, শীতের কারণে কাজে যেতে না চাইলেও পরিবারের কথা চিন্তা করেই তীব্র শীতের মধ্যে কাজে বেড়িয়েছেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, রাতভর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাচল করছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ।
কয়েকদিন পর শুক্রবার ভোরেই কুয়াশা ভেদ করে দেখা গেছে সূর্য। এ কয়েকদিন কুয়াশায় ঢাকা ছিল দিনভর। তীব্রশীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের কারণে অনেকের কমে গেছে আয় রোজগার। এতে করে বেড়েছে দূর্ভোগ।
শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন ছোটখাটো যানবাহনগুলোর মধ্যে ভ্যান চালকরাও। ভ্যান চালকরা বলছেন, কনকনে ঠান্ডার হাতপা অবশ হয়ে আসে ভ্যান চালাতে গিয়ে। শীতের কারণে ভ্যানে চড়তে চান না অনেকেই। তাই আগের থেকে ইনকাম কমে গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কিংবা সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
এদিকে, শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ছুটছেন হাসপাতালে।
এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ জানান, তিনদিন ধরে এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয় ৯দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে।
মেসেঞ্জার/দোয়েল/তারেক