ছবি : মেসেঞ্জার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামন তিতাস কে আটক করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১০ টার দিকে পর্যটন নগরী কক্সবাজার সদর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অভিযানিক দল।
ওই সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই সুমন মিয়া (২৫) ও চেয়ারম্যানের সহযোগী তারেক সরদার (৪০) মোট তিনজন কে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের কক্সবাজার থানায় সোপর্দ করে র্যাব। চেয়ারম্যান তিতাস ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
(১০ ডিসেম্বর) সদরপুর থানায় কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের যাত্রা গ্রামের মৃত আলেম শেখের পুত্র রুবেল শেখ বাদী হয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আক্তারুজ্জামান তিতাস কে প্রধান করে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে আরও ৭ থেকে ৮ জন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (৪ ডিসেম্বর) তারিখে কৃষ্ণপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আক্তাররুজ্জামান তিতাস ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন ফকিরের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণ করা হয়।
তিতাসের সমর্থকের গুলিতে বিল্লাল ফকিরের সমর্থক মো. রুবেল হোসেন কে প্রকাশ্য গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। ওই সময় রুবেল কে এলাকা থেকে উদ্ধার করে সদরপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি থাকায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে রুবেল শেখ (১০ ডিসেম্বর) বাদী হয়ে একাধিক অপরাধমূলক ধারায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সদরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) মো. মামুন জানান, কক্সবাজার র্যাব-১৫ তাদের আটক করে স্থানীয় থানায় সোপর্দ করে। পরবর্তীতে আমাদের সাথে যোগাযোগ হলে সদরপুর থানা থেকে আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলার কপি পাঠানো হয়। থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন।
মেসেঞ্জার/নাজিম/তারেক