ছবি : মেসেঞ্জার
যমুনা নদীর বালু বিক্রির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বিএনপি’র দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এরআগে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিংড়াবাড়ী এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন, বিএনপি সমর্থিত সিংড়াবাড়ি এলাকার মুন্না আহম্মেদ, পারভেজ সেখ, হৃদয় সেখ, ফজলে রাব্বী ও উষা বেগম। এ ঘটনায় তিনজন কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চর থেকে বালু সংগ্রহ করে উপজেলা সিংড়াবাড়ী এলাকায় ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং প্রকল্পের কাজ চলছে। এ কাজে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালু সংগ্রহ করে জিওব্যাগে ভরছে।
এতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবলুর ছেলে মেহেদী হাসান সুমন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশাদুল ইসলামের লোকজন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতিদিন নৌকা প্রতি নির্দিষ্ট পরিমান চাঁদা নেন। এচাঁদার টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে।
চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মেহেদী হাসান সুমন বলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম, গান্ধাইল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুইট ও ছাত্রদল নেতা নবীনসহ কয়েকজন প্রতিদিন বালুর নৌকা প্রতি চাঁদা তোলেন। এ চাঁদা তুলতে নিষেধ করায় আমার মা উষা বেগমসহ পাঁচজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন।
তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম উল্টো অভিযোগ করে বলেন, সুমনকে চরের বালুর চাঁদা ও একক আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয়রা বাধা দিলে এ হামলা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন বলেন, সন্ধ্যার পরে হাসপাতালে আহত অবস্থায় ৭ জন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এদের মধ্যে আশংকাজন হওয়ায় ১জনকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান, সংঘর্ষের এঘটনায় মেহেদী হাসান সুমন নামের একজন অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/রাসেল/তারেক