ছবি : মেসেঞ্জার
টানা তিনদিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঠান্ডা আর হাঁড় কাঁপানো শীতে জুবুথুবু জনজীবন। তীব্র শীতে কষ্টে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বৃহস্পতিবার থেকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলে। তবে সকালে সূর্য উঠছে। একটু রোদের উত্তাপও ছড়াচ্ছে। বিকেল পর্যন্ত থাকছে মৃদু রোদ। রোদের এই উত্তাপটুকুই আর্শীবাদ হচ্ছে এ জেলার শীতার্ত মানুষের।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যেক্ষণাগার থেকে শনবিার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় ৮৮% বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করেছে। সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ০৯.৩ ডিগ্রি রেকর্ড হয়, যা দেশের সর্বনিম্ন। সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রী। এরপর সকাল ৯ টায় তাপমাত্রার পারদ নেমে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর ছিল ১০ ডিগ্রি, ১৩ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী।
এদিকে সকালে তীব্র শীত সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া। কাবু করে দিচ্ছে মানুষ ও প্রাণীকুল। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই আরো বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে। গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে জীবন-জীবিকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছে খেটে খাওয়া খাওয়া মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাসজুড়েই তাপমাত্রা এ রকম থাকতে পারে। উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাবে। কর্কট ক্রান্তি রেখা বরাবর অবস্থান হওয়ায় শীত মওসুমে প্রায় দিনই দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়।
মেসেঞ্জার/লিটন/তুষার
