ছবি : মেসেঞ্জার
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সুমাইয়া আক্তার পায়েল নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার দেশগাঁও গ্রামের মধ্য আটিয়া বাড়ী থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পায়েলের স্বামী নাজাত ভুঁইয়া নিঃসর্গকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পায়েলের বাবা সাগর হোসেন চৌধুরী জানান, প্রায় দুই বছর আগে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে প্রেমের সম্পর্ক করে পায়েলকে বিয়ে করে নিঃসর্গ। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করত তাকে। শনিবার রাতে পায়েলকে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী নিঃসর্গ।
স্থানীয়রা জানায়, নিঃসর্গের বাবা আবদুল মান্নান ও মা জেসমিন আক্তার দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করেন। তিন বছর আগে নিঃসর্গের প্রথম স্ত্রীকেও নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে আরো জানা যায়, পায়েলের স্বামী নাজাত ভুঁইয়া নিঃসর্গ একজন মাদকাসক্ত। মাত্র কয়েকমাস পূর্বে তাকে রিহ্যাব থেকে চিকিৎসা দিয়ে আনা হয়েছে। সে ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মূলত: মাদকাসক্ত হওয়ার কারণেই মাদকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় সে স্ত্রীকে নির্যাতন করতো।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বেলাল বলেন, ‘পায়েল মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিল। তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ আছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নিঃসর্গ ও তার পরিবারকে সর্তক করা হয়েছে। তবুও মেয়েটিকে বাঁচানো গেল না।’
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, নিহত পায়েলের বাবা পায়েলের স্বামী নাজাত ভুঁইয়া নিঃসর্গ, শশুর, শাশুড়ীসহ আরো কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ১৪। গত রাতেই ওই গৃহবধুর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/আজাদ/তুষার