ছবি : মেসেঞ্জার
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসবের দিনে এসএসসি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫দিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিতে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এর কাছে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম শিক্ষার্থীরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে নিজেদের প্রধানতম সামাজিক উৎসব পালন করতে পারে সেজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর দুইদফা দাবি জানানো হয়। দাবিসমূহ হল- অনতিবিলম্বে ১৩ এপ্রিল ও ১৫ এপ্রিল পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনপূর্বক এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
স্মারকলিপি প্রদানকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা ও জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জাতিসমূহের প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, বিষু, বৈসু, বিহু, সাংগ্রাই, চাংক্রান উৎসবের দিনে নির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনপূর্বক নতুন রুটিন প্রকাশ এবং উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৫দিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবিতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ স্মারকলিপি পেশ করে।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিনে ১৩ ও ১৫ এপ্রিল ২০২৫ এ যথাক্রমে বাংলা ২য় পত্র ও ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষা রাখা হয়েছে। এর মাঝে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে একদিন সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার রুটিন প্রণয়নের সময় ছুটি হিসেবে বাংলা নববর্ষকে বিবেচনা করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু, বিষু, বৈসু, বিহু, সাংগ্রাই, চাংক্রান উৎসবাদি ছুটির আওতায় আনা হয়নি।
তারা আরো জানায়, এই উৎসব পালনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কতৃর্ক ১২ ও ১৫ এপ্রিল সরকারি ছুটির ঘোষণা থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কোন ছুটির নির্দেশনা না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাৎসরিক একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছুটির তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়না। ফলশ্রম্নতিতে উৎসবের দিনগুলোতেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ক্লাস ও পরীক্ষা থাকায় জুম্ম শিক্ষার্থীরা তাদের প্রধানতম সামাজিক উৎসবটি পালন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
মেসেঞ্জার/শুভ/তুষার