ছবি : মেসেঞ্জার
বিজয় দিবসে জনরোষের শিকার হয়ে পুষ্পমাল্য অর্পন না করে চলে গেলেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। যদিও পরে স্থানীয় বিএনপি ও প্রশাসনের সহযোগীতায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে বিজয় দিবসের কর্মসূচী পালনে চরম অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার অভিযোগ তোলা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত শহীদ বেদীতে বিজয় দিবসের পুষ্পমাল্য অর্পণ করে আসছে কোটচাঁদপুরবাসী। এ বছরও উপজেলা প্রশাসন থেকে বিজয় দিবস পালনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৬ টায় তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। তবে সেখানেও উপস্থিত ছিলেন না ইউএনও। শহীদ বেদী চত্বর ছিল অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন। সেখানে কোন মাইক ছিল না। সকাল ৮টায় শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণের কথা থাকলেও ইউএনও উছেন মে আসেন ৯টায়। এসময় সেখানে উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিল না। ফলে চরম এ অব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন উপস্থিত জনতা। এসময় নির্বাহী অফিসারের গাড়ি দেখে তারা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। ইউএনও কে বহন করা গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় তিনি জনরোষ থেকে বাঁচতে শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ না করেই গাড়ি নিয়ে এলাকা ছাড়েন।
এ ঘটনার পর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক ও পৌর বিএনপি সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র সালাউদ্দীন বুলবুল সিডলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করেন। সেখানে গিয়ে তার সাথে আলোচনা করে বেলা ১০টার দিকে পুনরায় শহীদ বেদীতে আসেন ইউএনও এবং পুস্পমাল্য অর্পণ। এসময় পুলিশ ও সেনা সদস্যদের যৌথ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়।
এ নিয়ে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, আমাকে কেউ আগে কিছু বলে নাই। আমি শুনেছি। শোনার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। তারা ভালোভাবে উপজেলায় রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম সু-সম্পন্ন করেছে। উপজেলাবাসি সবার দ্বায়িত্ব তারা রাষ্ট্রীয় কাজে সহযোগীতা করবেন, আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি।
মেসেঞ্জার/শাহজাহান/তুষার