ছবি: মেসেঞ্জার
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে অবস্থিত বুড়িঘাট এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের বুকে জেগে থাকা একটি ছোট্ট টিলায় অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠর সমাধিতে এই দৌাধশহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন বিজিবি'র রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, পিবিজিএম, পিএসসি।
১৬ (ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মহান স্বাধীনতা যু্দ্ধে সর্বোচ্চ আত্নাহুতিদারী শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন বর্ণিত অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি চৌকষ ও সুসজ্জিত গার্ড দলের সদস্যগণ গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং বিউগলের অন্তিম সুরে উপস্থিত সকলে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির এই সূর্য সন্তানকে।
এই উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার বলেন, আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার চেংড়ী খালে প্রতিরক্ষা অবস্থানে থাকাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দলের ০২টি লঞ্চ ও ০১টি স্পীডবোটকে মেশিন গান দিয়ে গুলি করে নদীতে ডুবিয়ে দেন।
তাঁর এহেন বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার ফলে পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দল পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনীর মর্টারের গুলি আঘাতে এই স্থানে মহান অকুতোভয় বীর শাহাদাত বরণ করেন। আর এই মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমেই অর্জিত হয় আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা।
বাংলাদেশ সরকার তার বীরোচিত আত্মত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ উপাধি `বীরশ্রেষ্ঠ‘ খেতাবে ভূষিত করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া, বিজিবির বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/রিপন/জেআরটি