ঢাকা,  বুধবার
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে পৃথক দুটি মরদেহ উদ্ধার

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে পৃথক দুটি মরদেহ উদ্ধার

ছবি : মেসেঞ্জার

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে সাবু হোসেন (৩৫) ও জাহাঙ্গীর আলম (৫০) নামে পৃথক দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে শার্শা উপজেলার পাঁচভুলাট ও পুটখালী সীমান্তের ইছামতী নদীর কাছ থেকে বিজিবি‘র সহায়তায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করে শার্শা থানা ও বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।

নিহত সাবু হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে ও জাহাঙ্গীর আলম একই থানার কাগজপুর গ্রামের মৃত ইউনুচ আলী মোড়লের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সকালে খুলনা বিজিবি এর পাঁচ ভুলাট বিওপি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মেইন পিলার ১৭/৭এস এর ১০২ আর পিলার হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্ত শূন্য লাইন হতে ৩০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে ভান্ডারীর মোড় নামক স্থানে একটি মরদেহ উলঙ্গ অবস্থায় বাংলাদেশের সীমান্তে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে শার্শা থানার এস, আই আওয়াল হোসেন ও এস, আই কামরুল ইসলাম উপস্থিত হয়ে বিজিবির উপস্থিতিতে মরদেহ নদীর তীর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে এদেরকে পিটিয়ে এবং নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহতের পরিবার থেকে জানিয়েছে, সে গত রাতে চোরাচালানের উদেশ্য ভারত সীমান্তে গমন করেন এবং ধারণা করা যাচ্ছে সে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক আটক হয়ে মারধরের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসার সময়ে মারা যায়।

অপরদিকে একই দিন রাত দেড়টার দিকে বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত আরিফ হোসেনের ছেলে সাবু হোসেন বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তের ইছামতি নদী সাঁতার দিয়ে ভারতীয় গরু পারাপারের জন্য ভারত সীমান্তে গেলে বিএসএফের হাতে আটক হয়। বিএসএফ তাকে মারধর করে বস্ত্রবিহীন অবস্থায় বাংলাদেশে সীমান্তে রেখে চলে যায়। সে নিজে আহত অবস্থায় নাসিরের আম বাগানে আসলে স্থানীয় লোকজন তার বাড়িতে ফোন করে খবর দিলে তার মা এবং স্ত্রী গিয়ে তাকে ভোর ৪টার সময় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কি ভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে আমরা তদন্ত করছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে মৃত্যুর কারণ জানাতে পারবো বলে তিনি জানান।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শার্শার সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তাদের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মেসেঞ্জার/জামাল/তুষার