ছবি : মেসেঞ্জার
বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে ‘মাদকের আগ্রাসন রোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কার্যালয় এই সেমিনারের আয়োজন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাউদ্দীন শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সেমিনারের মুখ্য আলোচক ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ( চট্টগ্রাম মেট্রো উত্তর) উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকার।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এস এম শোয়েভ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারের সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক শফিকুল ইসলাম সরকার। সেমিনারে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব বলেন, যুবসমাজ পরিবার ও দেশের বড় সম্পদ। তারা যদি মাদকাসক্ত হয় তাহলে ভুক্তভোগী হয় পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাষ্ট্র। আমরা দেখেছি মাদক মানুষকে অমানুষে পরিণত করতে, মাদকাসক্তদের নিজ মাকে পর্যন্ত খুন করতে হাত কাঁপে না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাদক থেকে যেমন নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে তেমন বন্ধুদেরও সতর্ক করতে হবে। সবাই মিলে মাদককে প্রতিরোধ করতে পারলেই সফলতা আসবে।
তিনি বলেন, অনেকে শখ বা বন্ধুদের দেখাদেখি ধুমপান করে। শুরুটা ধুমপান দিয়ে শুরু হলেও শেষটা ভয়াবহ পরিণয় তৈরি করে। কাজেই ধুমপানকে উৎসাহ দেওয়া যাবে না। নিজ এবং নিজের ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত রাখার দায়িত্ব সকল শিক্ষার্থীর।
সমাপনী বক্তব্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা শিক্ষার্থীদের বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করে। মাদক সমস্যা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এই অসঙ্গতি রুখতে আমাদের সকলকে একসাথে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তরুণ শিক্ষার্থীরা ইতিহাসের নানা পালাবদলে ভূমিকা রেখেছিল। দেশ থেকে মাদক নির্মূল করতে তরুণরা সবার আগে এগিয়ে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রধান করেন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় অনুষদ বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তাওসিফ কামাল। আলোচনা পর্ব শুরুর পূর্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার, মাদক এবং উচ্চশিক্ষায় তার বিরূপ প্রভাবের কথাও এসময় উল্লেখ করেন বক্তারা
মেসেঞ্জার/তুষার