ছবি : মেসেঞ্জার
যত্রতত্র উন্মুক্তভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। তাই এর সমস্যা সমাধান এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে মোংলায় বর্জ্য সংগ্রহকারী পরিছন্ন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে তিনটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের সহায়তায় মঙ্গলবার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শেষ হয় তিনদিনের এই প্রশিক্ষণ।
উপজেলার ১০০ জন বর্জ্য সংগ্রহকারীকে আরণ্যক ফাউন্ডেশন, রিসাইকেল জার ইকোসিস্টেম ও এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এই প্রশিক্ষণ দেয়।
সুন্দরবন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্লাস্টিক দূষণ বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের দূষণ রোধ করার মাধ্যমে সার্কুলার ইকোনমির সুযোগ সৃষ্টি এবং পরিবেশের টেকসই উন্নয়ন করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানায় কর্মশালার আয়োজকরা।
এসময় বর্জ্য সগ্রাহকদের মধ্যে নিরাপদ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ এবং একক ব্যবহারকৃত প্লাস্টিকের টেকসই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের হাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মূলক সরঞ্জামাদি ভেস্ট, গ্লাভস, পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক, গামবুট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সুরক্ষামূলক চশমা এর পাশাপাশি নারী বর্জ্য সংগ্রাহকদের মাঝে স্যানিটারি ন্যাপকিন তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা মনে করেন, প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য তথা সুন্দরবন, নদী, সমুদ্র ইত্যাদি জৈব এবং অজৈব বাস্তুতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। এর দূষণ রোধ করা একই সাথে এর সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষদের টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা অলম কৃ্ষ্ঞ সাহা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এইচ.এম.ফাহিম, জিয়াউর রহমান, সখিনা আক্তার, শিব্বির আহমেদ তাশফিক সহ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ।
মেসেঞ্জার/হাসান/তারেক