ছবি: মেসেঞ্জার
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার আবাসিক হোটেলে গিয়ে চাঁদা দাবি এবং না পেয়ে ডাকাতি ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মর্তুজা ফামিন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঐ আবাসিক হোটেলের রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পাঁচ-ছয়জন যুবক ঐ আবাসিক হোটেলে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে হোটেলের চার কর্মীকে দোতলার রেস্তোরাঁয় আটকে রেখে নিচতলায় লুটপাট চালানো হয়। ইন্টারনেট ও সিসি ক্যামেরার ক্যাবল ছিঁড়ে ফেলে এই ঘটনা ঘটানো হয়।
এ ঘটনায় মামলা না করলেও হোটেল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানান, চাঁদা না পেয়ে ডাকাতি করা হয়েছে। যদিও হোটেলে টাকা-পয়সা ছিল না। দুজন ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ঘটনা ঘটে বলেও দাবি করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। নগরীর গণকপাড়ায় অবস্থিত ঐ হোটেলের মালিক আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন। তার ভাতিজা এখন হোটেলটি দেখাশোনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মর্তুজা ফামিন বলেন, ‘ওই চাঁদাবাজি বা ডাকাতি বা হয়রানির কথিত ঘটনার সাথে আমরা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত নই। এ ঘটনায় ছাত্রদলের নাম জড়ানো অনভিপ্রেত ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।’
ঘটনার সময় তারা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় যদি আমাদের উপস্থিতি প্রমাণ হয়, তাহলে আজীবন রাজনীতি থেকে বিরত থাকব। আমরা এমন অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করে ছাত্রদলের এ নেতা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমরা ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি সত্যিকার অর্থে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে এবং এমন অপরাধে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী গুটিকয়েক সাধারণ মানুষ কখনোই ক্ষমতার দাস্তিকতা বা সুযোগের বা সুসময়ের অপব্যবহার করে কোন প্রকার অপকর্ম সমর্থন করি না। সময়ের পালা বদলে আমরা দাম্ভিকতার মোহে পতিত জুলুমবাজ মাফিয়া গোষ্ঠীর মত একই আচরণ করার শিক্ষা অর্জন করিনি।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও কয়েকজন ছাত্রদলের নেতা তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার
