ছবি : মেসেঞ্জার
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সিরাজগঞ্জে হাজী সেলিম রেজা (৪৮) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একই সঙ্গে তার দু-পা ও ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পুর্নবাসন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত হাজী সেলিম রেজা সয়দাবাদ ইউনিয়নের পুর্বমোহনপুর গ্রামের মৃত হারু শেখের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপির সাবেক সদস্য।
আহতের ছেলে আব্দুল জলিল জানান, সকাল ৭টার দিকে ২০/২৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী পুর্নবাসন এলাকায় আমাদের বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে ধরে একটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা বাবাকে পিটিয়ে দুই পা, ডান হাত ভেঙে দিয়েছে এবং দুই পায়ের রগ কেটে দিয়ে ও মাথায় কুপিয়ে জখম করে অচেতন অবস্থায় পূর্ব বাঐতারা স্কুলের সামনে ফেলে রাখে। পরে বাবাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে তাকে ঢাকার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁর অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা বলেন, সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। সরকার পতনের পর থেকে সে পালিয়ে ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে গত (৩ দিন) ধরে বাড়িতে অবস্থান করছিলো।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসী সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা রঞ্জু ও ২০১৪ সালে নিহত ইউনিয়ন যুবদল নেতা জবান আলী হত্যা মামলার আসামি। সরকার পতনের পর থেকে সে পলাতক ছিল। এলাকায় আসার পর স্থানীয় জনতা তাকে ধরে মারধর করার পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মবর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, সেলিম রেজাকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
মেসেঞ্জার/রাসেল/তুষার