ঢাকা,  বুধবার
২২ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

দলিল লেখক ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর বিরুদ্ধে দলিল জালিয়াতি অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

দলিল লেখক ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর বিরুদ্ধে দলিল জালিয়াতি অভিযোগ

ছবি : মেসেঞ্জার

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় আগুন খোয়া বাহিনীর (আওয়ামী লীগ নেতা) সদস্য প্রদীপ সরকার ও খালিশা চাপানি ইউনিয়নের সাবেক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী’র দলিল জাল-জালিয়াতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী বাইশপুকুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে জমি দখল, হুমকি প্রদান ও মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

ভূক্তভোগীরা বলেন, ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের তালিকাভুক্ত দলিল লেখক জাল কাগজপত্র দলিল বানিয়ে জমি দখল গড়ে উঠেছে। চক্রের মূলে রয়েছে ডিমলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের তালিকাভুক্ত দলিল লেখক প্রদিপ সরকার গং ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. গোলাম রব্বানী। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন আমলের সীলমোহর ও কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া মিথ্যা দলিল তৈরি করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা দেওয়া হতো। জোরপূর্বক জমি দখলের জন্য তাদের একটি লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে ওঠে। এমনকি গোলাম রব্বানী ও প্রদিপ সরকার গং তিস্তার চর খাস খতিয়ানের জমি জাল কাগজপত্র নামজারি ও রেজিস্ট্রি করে স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, গোলাম রব্বানী, প্রদিপ সরকার গং তিস্তার চর খাস খতিয়ানের জমি জাল কাগজপত্র নামজারি ও রেজিস্ট্রি করে স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে আমি একজন ভুক্তভোগী যাহার মামলা নং- ১১৪৭/২০ মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আমার দখলে থাকা খতিয়ান নং- ১০৭, জেএল নং-৪৬, দাগ নং-১৬১০, জমির পরিমাণ ৩৫ শতক। খতিয়ান নং- ৩৬৮, দাগ নং-১৪৪৭, জমির পরিমাণ- ৭১ শতক। খতিয়া নং- ৭২৭, দাগ নং- ৩২৯৮, জমির পরিমাণ- ১.০০। তিন দাগে মোট ২.০৬ শতাংশ চাষাবাদকৃত জমি বেদখল করে। এবং বর্তমানে আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করতে থাকে ও আমার কাছে ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ টাকা) চাঁদা দাবী করে। এই চক্রের মূল হোতা প্রদিপ সরকার একাধিক জাল জালিয়াতি মামলায় গ্রেপ্তার হন।

মেসেঞ্জার/রিপন/তুষার