ঢাকা,  রোববার
২২ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ময়লার ভাগাড়ের উচ্ছিষ্ট ভাগাভাগি নিয়ে খুন, গ্রেপ্তার আরও এক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ময়লার ভাগাড়ের উচ্ছিষ্ট ভাগাভাগি নিয়ে খুন, গ্রেপ্তার আরও এক

ছবি : মেসেঞ্জার

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ভাগাড়ের উচ্ছিষ্ট ভাগাভাগি নিয়ে জসিম উদ্দিন হত্যার ঘটনায় আত্মগোপনে থাকা মো. সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার পশ্চিমগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগ চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার চান্দারপাড়া এলাকার মো. লোকমান এর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাবের সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরিফ-উল-আলম বলেন, ব্যবসায়িক অন্তর্দ্বন্দ্বের জের ধরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা জসিম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগকে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ এর যৌথ আভিযানে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‍্যাব সূত্র জানায়, জসিম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টিজি কলোনীর আরমান বিল্ডিংয়ের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর পাশাপাশি আনন্দ বাজার চান্দারপাড়া সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডিপো থেকে ডাম্পিং করা বর্জ্য থেকে বোতল  এবং প্লাষ্টিক জাতীয় দ্রব্য কুড়িয়ে বিক্রি করতেন। সোহাগ ওই ডাম্পিং থেকে বোতল না কুড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান জসিমকে। পরে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেজাম উদ্দিন দিপু, সোহাগ প্রকাশ বড় সোহাগসহ তাদের সহযোগীরা টিজি কলোনির প্রবেশমুখে রাখাল দাশের বিল্ডিংয়ের সামনে জসিম উদ্দিনকে আক্রমণ করে। এ সময় নেজাম উদ্দিন দিপু জসিমের গলায় ছুরিকাঘাত করে। পরে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জসিম।

এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে নগরের বন্দর থানায় মামলা করেন নিহত জসিমের ভাই।

মেসেঞ্জার/সাখাওয়াত/তুষার