ছবি : মেসেঞ্জার
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে আইনের কোন শাসন ছিল না। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী হামলা ও খুনের শিকার হলেও মামলা নিতো না। অবৈধ ভাবে দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে বিএনপি’র নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। নিরীহ মানুষদের বছরের পর বছর জেলে বন্দি রেখেছে। এর বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আইন, বিচার, পুলিশ প্রশাসনসহ সব সেক্টর ধ্বংস করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। হাসিনা যে পরিমাণ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে তা দিয়ে একশটি পদ্মাসেতু তৈরি করা যেত। শেখ হাসিনা ১৬ বছরে যে ঘায়ের ক্ষত বানিয়ে দিয়ে গেছে সেটা যে কোনো মলমেই সারবে না। এমন মলম দিতে হবে যেন ঘা সেরে যায়।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মহান বিজয় দিবস উপললক্ষে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি ইছাহাক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার বধ্যভূমি তৈরি করেছিল। একের পর এক মানুষের জীবন কেড়ে নিয়ে যমুনা নদীতে লাশ ফেলে দিত। নদী কথা বলতে পারে না, তাই আজও তার নীরবতা বজায় রেখেছে। যদি নদী কথা বলতে পারত, তাহলে এই নদীতে কত লাশ ফেলা হয়েছে। সেটা বেড়িয়ে আসতো। এর বিচার সিরাজগঞ্জের মাটিতেই হবে।
ধ্বংস্তপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে পুনর্জ্জীবিত করতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। এ ৩১ দফায় জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশের সব সেক্টরে উন্নয়ন করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করে সমৃদ্ধশালী দেশ উপহার দেবে। আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এবং বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী দলগুলোকে ক্ষমতায় আনতে হবে। ইনশাআল্লাহ ৩১ দফার মাধ্যমে সেই জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ বেগম জিয়ার সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে পারব।
নেতাকর্মীদের উদ্দেম্যে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকু বলেন, এখনো দেশে আওয়ামী লীগ রয়েছে। আপনাদের মুখরোচক কথা বলে মিলতাল দিয়ে থাকবে। কিন্তু আপনারা তাদের কথায় ভুলবেন না, আওয়ামী লীগ থেকে সজাগ থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, এ বাংলাদেশকে একটা শ্মশান বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে শেখ হাসিনা। এ দেশকে যারা শাসন করার দায়িত্ব নেবে তাদের জন্য অনেক কঠিন হবে এটা করার জন্যই শেখ হাসিনা এ কাজ করেছে। এ কাজ করে বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলে আওয়ামী লীগকে ফেলে দিল্লি চলে গেছে । এখন দিল্লি বসে চিন্তা করছে দিল্লি বোধ হয় আবার তাকে বাংলাদেশের মসনদে বসিয়ে দেবে। স্বপ্ন দেখাটা ভালো কিন্তু দুঃস্বপ্ন দেখাটা ভালো না।
কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতি জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রোমানা মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম-সম্পাদক ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস ও যুবদলের সভাপতি মির্জা বাবু।
মেসেঞ্জার/রাসেল/তুষার