ছবি : মেসেঞ্জার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন একটি স্লুইচ গেইটের ব্লক নির্মাণ কাজে মাটি মিশ্রিত পাথর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আগাম বন্যা থেকে কালনার হাওরের ফসল ও বেড়িবাঁধের সুরক্ষায় ২০২৩ সালে দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর ও নূরপুর গ্রামের মধ্যবর্তী পেটফুলা বেড়িবাঁধে স্লুইচ গেইটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আগামী ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করার বাধ্যবাধতা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যথাযথ তদারকির অভাবের ঠিকাদারের লোকজন শুরু থেকেই দায়সারা ভাবে স্লুইচ গেইটের নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি স্লুইচ গেইটের ব্লক নির্মাণ কাজে মাটি ও কাদা মিশ্রিত বালি-পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। পাথর না ধুয়েই মাটিসহ পাথর দিয়ে ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে, ফলে টেকসই ব্লক নির্মাণ হচ্ছে না।
আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মিয়া ও সুজন বলেন, বন্যার সময় পানিতে যেসব পাথর তলিয়ে গিয়েছিল এসব পাথর না ধুয়েই ব্লক নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব পাথরে অর্ধেকই মাটি। যেকারণে ব্লক টেকসই হচ্ছেনা। ভেঙে যাচ্ছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্লক নির্মাণে মাটি মিশ্রিত পাথর ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার ভজন বাবু। তিনি জানান, স্থানীয় লোকজনদেরকে দিয়ে পাথর ধোয়ানো হচ্ছে যাতে কাজে কোনো অনিয়ম না হয়। মাটি মিশ্রিত কিছু পাথর ধোয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। পরে এগুলো ধুয়ে ব্লকের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ারাবাজার পওর উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শমশের আলী মন্টু জানান, কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। ইতোমধ্যে স্লুইচ গেইটের মূল স্ট্রাকচারের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন ব্লক নির্মাণের কাজ চলছে। হয়তো কিছু পাথরে ময়লা ছিলো। পাথর ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করতে বলেছি। আমাদের অফিস থেকে নিয়মিত কাজ তদারকি করা হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/আশিস/তুষার