ছবি : মেসেঞ্জার
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি সমিতির কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে। ভোটে নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ৬ মাস থাকার পরও অবৈধভাবে আরেকটি কমিটি গঠন করা নিয়ে এই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) কর্মচারিরা হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেবেন। নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ বলছেন, কয়েকজন কর্মচারী ভুয়া কমিটি তৈরি করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। যাতে সভাপতি করা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী দাউদ আলীকে। বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারি সমিতির যশোর জেলা শাখা ওই কমিটির অনুমোদন দেননি বলে নিশ্চিত করেছেন সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি সমিতির কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কর্মচারিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বর্তমানে তা প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। কয়েকজন কর্মচারি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২১ মে ভোটের মাধ্যমে হাসপাতাল শাখা কমিটি গঠন হয়। ৬৫ সদস্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ২৬ জুন। অথচ কমিটির ৬ মাস থাকা স্বত্তেও কয়েকজন কর্মচারি প্রভাব খাটিয়ে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি দাউদ আলীকে সভাপতি ও কামরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে চলতি মাসে দুই বার অবৈধভাবে ভুয়া কমিটি গঠন করে। যা নিয়ে সদস্যদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারি সমিতির যশোর জেলা শাখার সভাপতি ও জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা শাখা ব্যতিত আর কোন শাখার কমিটির অনুমোদন দিতে পারেন না। সেখানে হাসপাতালের ১১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়ায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। ভোটে নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ এখনো ৬ মাস থাকা স্বত্তেও কিভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীকে সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হলো এটা আমার বোধগম্য নয়। জেলা শাখা হাসপাতালের অবৈধ কমিটির অনুমোদন না দিয়ে কাগজ ফেরত দিয়েছে। নির্বাচনে আসার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, অসবরপ্রাপ্ত কর্মচারি কমিটির উপদেষ্টা ছাড়া অন্য কোন পদে থাকতে পারবেন না। চক্রের ভুয়া কমিটি বাতিলের দাবিতে কর্মচারিরা সোচ্চার হয়েছেন। তারা ভুয়া কমিটি বাতিলের দাবিতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেবেন।
এই বিষয়ে বিনা ভোটে গঠন করা কমিটির সভাপতি দাউদ আলী জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের বৈধ কমিটিকে অবৈধ প্রমাণ করতে কর্মচারিদের একটি অংশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারি সমিতির যশোর জেলা শাখার সাধারণের কাছে অনুমোদনপ্রাপ্ত কমিটির কপি জমা দেয়া হয়েছে।
মেসেঞ্জার/তুষার