ছবি: মেসেঞ্জার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বয়রা গসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লক্ষীপাশা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষীপাশা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির সেলিম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন-সংগঠনের জেলা আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে জামায়াত-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবুও আমরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়নি। আমরা সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছি। কারণ, আমরা আইন হাতে তুলে নিবো না। প্রচলিত আইনে তাদের অপকর্মের বিচার হবে ইনশাল্লাহ। যারা অপকর্ম করেননি, তাদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আওয়ামী লীগের মধ্যে সবাই যে মন্দ লোক তা নয়।
জামায়াত নেতা আতাউর রহমান বাচ্চু বলেন, অনেকে বলেন অমুক দল বা নেতা ভারতপন্থী, কেউ বলেন পাকিস্তানপন্থী। আমরা (জামায়াত) ভারতপন্থী নই, পাকিন্তানপন্থীও নই। আমরা বাংলাদেশ পন্থী। যতদিন সবার মাঝে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ সৃষ্টি হবে না; ততদিন দেশপ্রেম এবং দুর্নীতিমুক্ত থেকে উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
জনসাধারণের ভোগান্তি দুর হবে না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ইনশাল্লাহ সঠিক ভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। প্রতিটি মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক চাহিদা-অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রয়োজন; জামায়াতে ইসলামী তা পূরণ করতে সক্ষম হবে ইনশাল্লাহ। পুরুষের পাশাপাশি মা-বোনেরা যথাযথ ইজ্জত নিয়ে চলাফেরা করতে পারবেন। তারা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন। যারা নারীর স্বাধীনতা বলে গলা ফাটিয়ে দেয়-তাদের হাতেই আবার নারীরা ইজ্জত হারায়। ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করে। পথেঘাটে নারীদের সম্মান নষ্ট করে।
লক্ষীপাশা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী রকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-লোহাগড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা হাদিউজ্জামান, সেক্রেটারি মাওলানা সেকেন্দার খান, জামায়াতের জেলা কর্মপরিষদ সদস্য হেমায়েতুল হক হিমু, নড়াইল জজকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান পিকুল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডাশেনের লোহাগড়া উপজেলা সভাপতি আমজাদ হোসেন মল্লিক, হাফেজ আল মামুনসহ অনেকে।
জামায়াত নেতা আতাউর রহমান বাচ্চু আরো বলেন, ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে; আল্লাহর রহমতে সেই ট্রাইব্যুনালেই খুন, গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচার প্র বিরুদ্ধে স্বাক্ষীর কোনো ঘাটতি হবে না। খুন, গুমের শত শত স্বাক্ষী রয়েছে। ডিভিওচিত্র রয়েছে।
মেসেঞ্জার/ফরহাদ/জেআরটি