ছবি : মেসেঞ্জার
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে ঘুমন্ত ইবাদতরত আলেম-উলামা ও নিরীহ তাবলীগ সাথীদের উপর খুনি সাদপন্থী কর্তৃক বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার দ্রুত বিচার এবং সাদপন্থীদের বাংলাদেশে সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে ইত্তেফাকুল উলামা আয়োজিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইত্তেফাকুল ওলামা বৃহত্তর ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল্লামা আব্দুর রহমান হাফিজ্জী, বক্তব্য রাখেন আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, আল্লামা আনোয়ারুল হক, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মুফতি মাহবুবুল্লাহ কাসেমী, মুফতি মহিবুল্লাহ, ইত্তেফাকুল উলামা কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ বিন হাফিজ্জী, ক্যাপ্টেন শফিক সালাহউদ্দিন বাবু, মাওলানা আব্দুস সামাদ, ময়মনসিংহ জেলা মারকাজ মসজিদের খতিব মুফতি কাজী হাসান মাহমুদ, মুফতি আব্দুল হাই, অধ্যাপক নাঈম উদ্দিন, মুফতি আমির ইবনে আহমদ, মুফতি শরীফ আহমেদ, মুফতি মানাজির আহমেদ তাফসির, মাওলানা খোরশেদ আহমদ ফেরদৌস, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, মাওলানা রফিকুল আলম হামিদী, টঙ্গীতে সাদিয়ানীদের হামলার শিকার ফুলপুরের ফজলুল হক প্রমূখ।
সমাবেশে ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো- (১) গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং টঙ্গি ইজতেমা মাঠে গভীররাতে ঘুমন্ত ইবাদতরত আলেম উলামা ও তাবলীগী সাথীদের উপর অতর্কিত হামলাকারী খুনি সাদপন্থী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। (২) ময়মনসিংহ বিভাগে দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে পরিচালনার স্বার্থে ময়মনসিংহের সকল মসজিদে খুনি সাদপন্থীদের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। (৩) ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে যেসব সন্ত্রাসী টঙ্গীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে সনাক্ত করে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। (৪) কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গি তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমার মাঠে তাদের সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। (৫) এই মহাসমাবেশ লক্ষ করছে যে, সাদ'পন্থী সন্ত্রাসীদের গডফাদার ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে উসামা ইসলাম, জিয়া বিন কাসিম, আব্দল্লাহ মানসুর, সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, রেজা আরিফসহ সকল গডফাদাররা এহেন হত্যাযজ্ঞের পরেও বহাল তবিয়তে আছে ও বিশৃঙ্খলা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে, যা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই মহাসমাবেশ তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছে। (৬) এই মহাসমাবেশ মনে করে হত্যাকারীরা পার পেয়ে গেলে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে এবং মব জাস্টিস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।