ঢাকা,  সোমবার
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

পীরগাছায় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটি

মাজহারুল মান্নান, রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পীরগাছায় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটি

ছবি : মেসেঞ্জার

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন রাজনৈতিক দল হলে সেটা ইতিবাচক নয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘আমরা দেখি বিএনপিও তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, সেই ক্ষমতার পাটাতনে থেকেই তাদের জন্ম হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে জনগণের দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কিন্তু আমার দেখি জুলাই গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণরা স্বতস্ফুর্তভাবে একত্রিত হয়েছে। তরুণরা কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আগে থেকে নাই বা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনা করছে বিষয়টা এমন নয়। শিক্ষার্থীরা অন্তরবর্তী সরকারের অনুকম্পায় দল গঠন করছে না।’

সোমবার (২৩ ডিসেমববর)  বেলা ৩ টায় রংপুরের পীরগাছার দেউতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুঃস্থদের মাঝে ‘ শীতের চাদর’ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এসময় নাগরিক কমিটির রংপুরের সংগঠক আলমগীর নয়ন, মো. আরিফুল ইসলাম, আই সুমন, খন্দকার মাইনুল ইসলাম মিমসহ জেলা মহানগর ও বিভাগীয় সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে এক হাজার শীতের চাদর বিতরণ করেন তিনি।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের ছত্রছায়ায় নতুন দল গঠন হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আখতার হোসেন  আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘসময় ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসছি। বাংলাদেশের তরুণেরা জুলাই আগস্টের আন্দোলনে জীবন দিতে কার্পন্য করে নাই। এই তরুণদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের একটা ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে। সেই ভরসার জায়গার প্রেক্ষাপটে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব হতে যাচ্ছে। সেই শক্তিকে কোনভাবেই কোন সরকারের, অন্তবর্তীকালীন সরকারের বা অন্য কোনভাবে তাদের সহযোগিতায় বা তাদের মদদপুস্ট  এমন কোন দোষ আছে বলে আমি মনে কির না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে আমাদের সাথে এসে অংশ গ্রহন করছে। দুই-একজন মন্ত্রী বা উপদেস্টা একটি দল গঠন করে দিতে পারবে, জনমানুষের দল। সেটা আমাদের কাছে মনে হয় না এবং আমরা সেই অনুকম্পা প্রার্থীও নই।’

আখতার হোসেন বলেন, ‘এই তরুণরাই একত্রিত হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে মাত্র ৩ জন সরকারে আছেন। তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ আছে সত্য কিন্তু আমরা বরাবরই বলছি যে, রাজনৈতিক দলটি হবে সম্পুর্ণভাবে গণমানুষের এবং তরুণদের নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল। আমরা কোনভাবেই কোন অনুকম্পা পেতে চাই না। কিন্তু আমরা গণতান্ত্রিক যে অধিকার সেই অধিকার যেন আমরা পাই। সে ব্যপারে আমরা সচেতন থাকতে চাই।’

আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল। তখন বিরোধী প্রত্যেকটা পক্ষের উপর নির্যাতন করেছে। বিএনপি, জামায়াত, বামপন্থী এমন কোন সংগঠন নাই, যাদের ওপর তারা নির্যাতন করে নাই। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে বিদ্যমান যত রাজনৈতিক পক্ষ আছে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর ব্যতিরিকে। সকলের প্রতি তারা সুবিচার করছে। কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে তারা গ্রেফতার করছে না বিনা কারণে। কোন সভা সামবেশে নিষেধাজ্ঞা নাই। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এখন গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ সুফলটুকু লাভ করছে। আমরাও তারই অংশ। বিএনপিও তারই অংশ। জামায়াতও তারই অংশ। যদি আমরা সরকারের কোন ফেভারের কথা বলি। সেটা শুধু আমরা নই, আমরা সকলই পাচ্ছি। বিএনপি জামায়াতসহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল।’

এসময় ভারতীয় মিডিয়ার অপতথ্য প্রচার এবং ভারতীয় আগ্রাসন প্রসঙ্গে  আখতার হোসেন বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত আছে থাকবে। প্রয়োজনে আমরা মাঠে নামবো। এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হলো ভারতীয় অপপ্রচার ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত পদক্ষেপ এবং প্রতিবাদ করা। আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোকে অবহিত করা এবং দেশে ও বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রচারণা চালানো। সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ছাত্র-জনতার কাছেিআহবান জানাই।
 

মেসেঞ্জার/তুষার