ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশে আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি-ডাকাতির ঘটনা, বেড়েছে দুর্ঘটনার প্রবনতাও। বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, চার মাসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশে একাধিক চুরি-ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এরমধ্যে পর্যটকদের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এসব ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ি করেছে বিশিষ্টজনেরা।
সর্বশেষ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া কলেজ মোড়ে ছিনতাইয়ের শিকার হয় মোটরসাইকেল আরোহী কক্সবাজার মুখী দুই পর্যটক। তিনটি মোটর বাইকে গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে চালিত মোটরবাইক, দুইটি স্মার্টফোন ও নগদ রক্ষিত টাকা।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানাযায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া অংশের আজিজনগর-হারবাং থেকে খুটাখালী-নতুন অফিস পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার অংশের ১৪ কিলোমিটার সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ। এই সড়কে প্রায় সময় বড়-ছোট দুর্ঘটনা ঘটে। সড়কের চকরিয়া অংশের ১০টি স্থানকে অতিঝুঁকিপূর্ণ বাঁক হিসেবে চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
স্থানগুলো হলো চকরিয়ার হারবাং অংশের জাইল্যারাঢালা, ভাণ্ডারীর ডেবা, ইনানী, বরইতলী, বানিয়ারছড়া, ইসলামনগর, জিদ্দাবাজার, ভাঙারমুখ-ভেন্ডিবাজার, ফাঁশিয়াখালীর রিংভং, ছগিরশাহকাটা, মালুমঘাট ও খুটাখালীর মেধাকচ্ছপিয়া ঢালা।
চিরিংগা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুল হক, আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। সড়কে সতর্কতাসংবলিত সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ চিনতাই রোধে নিয়মিত টহল দিচ্ছে এবং টহলের পাশাপাশি চিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করছি।
এছাড়া তিনি আরো জানান, কক্সবাজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চকরিয়া হাইওয়ে থানার অধীনসহ ৩৯ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। সে অনুযায়ী হাইওয়ে পুলিশের সদস্য কম। তাই আমাদেরকে অল্প সংখ্যক পুলিশ দিয়ে এত বড় জায়গা টহল দিতে অনেক কষ্ট হয়। এমতাবস্থায় হাইওয়ে থানায় পুলিশের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
মেসেঞ্জার/রিদুয়ান/তারেক