ছবি : মেসেঞ্জার
এবারের বন্যায় জেলার ৯ টি উপজেলা ও জেলা শহরসহ সকল রাস্তাঘাট ডুবে যায় ও মাসব্যাপী জলাবদ্ধতার কারনে নোয়াখালী এলজিইডি ১৪৭০ কিমি রাস্তা ক্ষতি হয়। ফলে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার না হলে জনগনকে বেগ পেতে হবে। বিদ্বমান বাস্তবতা ৪ মাসে এলজিডিই ব্যাপক ভাবে সংস্কারে কাজ করছে গ্রামীণ জনপদে। মেরামত, কোথাও আরসিসি ঢালাই প্রয়োজন হয়ে পড়ে দি ডেইলি মেসেঞ্জার কে এলজিইডি নোয়াখালী বিভাগ জানান, এত বিশাল ক্ষতি সাধন করতে দরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ।
কিন্তু ৭৫ কোটি টাকা অপ্রতুল, যে কারনে হিমসিম পড়তে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। একদিকে ভয়াবহ বন্যায় সকল রাস্তা বন্যার পানিতে ডুবে যায় ও ব্যাপক ক্ষতি হয় অন্যদিকে মেটেরিয়াল দাম বেড়ে যাওযায় ঠিকাদার সাথে সংশ্লিষ্ট ইন্জিনিয়ারি কাজের গতি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
ঠিকাদার কোন ক্ষেএে অনিহা বা কাজের ধীরগতি করছে, নোয়াখালী এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম দি মেসেঞ্জার কে জানান, গ্রামীণ জনপদে অবস্থা খুবই ভয়াবহ, কোথাও রাস্তা পিচ উঠে গেছে, বিরাট হোল তৈরি হয়েছে, কোথাও গাডওয়াল ভেঙে গেছে।
বন্ধের দিনেও আমরা মাননীয় ড. ইউনুস সরকারে সংশ্লিষ্ট দফতরের আদেশ মতে কাজ করছি, এ রকম পরিস্থিতি এদেশে আর হয়নি। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ইতিমধ্যে প্রায় ৫৫ ভাগ করা সম্ভব হয়েছে।
আবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় আরেকটি বিশেষ প্রকল্প যা ১১ জেলা কাজ চলছে তাতে রাস্তা বিরাটকার গাছ না সরানের ফলে কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনে সভায় একটি রেজেলেশান হয় কিন্তু তা বাস্তবায়ন জরুরী। না হয় রাস্তা প্রশস্তকরণ ও আধুনিকায়নে সমস্যা হবে, পাশাপাশি মেটেরিয়াল এর দাম বেড়ে যাবে, এলজিআরডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম দি মেসেঞ্জারের নিকট এ মত প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দফতর জানায়, স্ব স্ব উপজেলা ইউনিয়নে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে, আশা করা যায় জনস্বার্থে সকলে সহায়তা এগিয়ে আসবে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক কর্মকতা দি ডেইলি মেসেঞ্জার জানান, ইউনিয়ন গুলোতে চেয়ারম্যান মেম্বার অপসারণ হওয়া কিছু সময় লাগছে।
সূএ জানায়, পাঁচ বছরে নোয়াখালী জেলার এলজিডিই একই সাথে কিলোমিটার ২৫০ কিলোমিটার সংস্কার করায় যোগাযোগে গতি ফিরেছিল কিন্তু এখন তা বন্যায় ক্ষত চিহ্ন দৃশ্যমান।
নোয়াখালী এলজিইডি নির্বাহী পরিচালক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এলজি আর ডি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিশেষ করে উপকূলীয় স্থানে ৩৫টি সাইক্লোন সেন্টার, ৯টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ৯টি ভূমি অফিস ভবন, সামাজিক অবকাঠামো আওতায় মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় মানুষের জীবনে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম দি মেসেঞ্জার কে জানান, কাজে ধীরগতি করায় কোন কোন ক্ষেত্রে ঠিকাদারি কাজ বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে ইটেন্ডার মাধ্যমে দরপএ প্রদান এবং গ্রহণ করা হয় কোন অনিয়ম সেখানে সুযোগ নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক চাপ নেই, ইতিমধ্যে ৯৩ টেন্ডার আগের সপ্তাহে অনলাইনে লটারী হয়েছে। মি. আজাহার ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা পূনবাসনে HELP নামে একটি প্রকল্প বিশ্ব ব্যাংক সহায়তা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এখন সবকিছুই ডিজিটালাইজড। তিনি বলেন, সড়কের কাজের মান যাচাই ল্যাবরটরির মাধ্যমে করা হয়। সুতারাং আগের মত যেনতেন ভাবে পাকাকরন কোন সুযোগ নেই।
যখন কোন অভিযোগ উঠে কোন ঠিকাদার বিরুদ্ধে, বিশেষ করে নিম্নমানের খোয়াইট বা বিটুমিন ব্যবহার করেছে বা মানসম্মত নয়, খোয়া ঈট ব্যবহারের এমন অভিযোগ ফেলে তাৎক্ষণিক কাজ পুনরায় করে দিতে হয়, বা ঠিকাদারের প্রদেয় বিল বাতিল করে দেয়া হয়। তবে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ফেলে এই ১৪৭০ কিমি বন্যায় ক্ষতি হওয়া রাস্তা দ্রুত সংস্কার, মেরামত হলে যান চলাচল সহজে হবে, ফিরে আসবে স্ততি।
মেসেঞ্জার/মামুন/তারেক