ছবি: মেসেঞ্জার
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক ব্যক্তির দুইটি খামার ঘর,নির্মানাধীন আরও দুটি ঘরের জন্য কেনা ৬ লাখ টাকার ৯০০ বাঁশ ও ২৫০টি খুঁটি লুটপাট ও প্রাণ নাশের হুমকি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মজিবুল হক মিলন এ অভিযোগ করেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মজিবুল হক মিলনের পক্ষে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জোসনা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে জোসনা বেগম বলেন,আমার ও আমার বোন জোসনা বেগমের নামে উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজার হোল্ডিং নং জি/২৪৪ মূলে ৫ একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা রয়েছে। যাহা ১৯৮৬-৮৭ সাল থেকে বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে ফলদ বনজ বাগান সৃজন করে বাঁধাহীনভাবে ভোগ কর আসছি। বর্তমানে জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লামা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন, তার মামাত ভাই সাইফুল ইসলাম সোহেল ও শেফায়েত রাসেল এবং লামা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মাহমুদরা লোভের বশীভূত হয়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে আমাদের জায়গা জবর দখল করার চেষ্টা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা জায়গা দখলে ব্যার্থ হয়ে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন।দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতকা প্রকাশ করলে সাইফুদ্দিনের নেতৃত্বে ১০- ১২জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের ভোগদখলীয় জায়গার উপর নির্মিত ২টি খামারঘর ভাংচুর ও নতুন করে নির্মাণাধীন ঘরের জন্য প্রায় ৬লাখ টাকা ৯শটি বাঁশ ও২৫০টি খুঁটি বোরখা লুট করে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী অভিযোগ করেছি।