ছবি : মেসেঞ্জার
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ৭১ সালে মানুষ তিনটি জিনিসের স্বাধীনতা চেয়েছিল। তাহলো কথা বলার স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা ও ভাতের নিশ্চয়তা। কিন্তু পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও খুনি হাসিনা মানুষের মৌলিক সে তিনটি অধিকার কেঁড়ে নিয়েছিল।
মানুষের অধিকার কেঁড়ে নেওয়ায় মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। তখন তারা হাজার হাজার মানুষকে গুম-খুন ও হত্যা করেছে। শেষে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। যে স্বৈরাচার একবার পালিয়ে গেছে সে স্বৈরাচার আর বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারবে না। এখন বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে হলে আল্লার আইন চালু করতে হবে।
একমাত্র আল্লার আইন মেনে চললেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী আল্লার আইন মেনে চলে, জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিলে তারা সংসদে আল্লার আইন বাস্তবায়ন করবে। তাই আল্লার আইন বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিতে বলেন তিনি।
বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত শহরের লিল্লাহ মসজিদ মাঠে শ্রমিক গণজমায়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, (৫ আগস্ট) ছাত-জনতার আন্দোলনে যে বিপ্লব হয়ে হয়েছে, তাতে এই দেশের শ্রমিকদের অবদান কম নয়। শ্রমিকরাও আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ায় বিপ্লব তরান্বিত হয়েছে। আমাদের দেশে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় শ্রমিকদের শ্রমের মূল্যায়ল করা হয়নি। এতে করে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছ।
শ্রমিকদের যদি আমরা সঠিক মর্যাদা দিতে পারি তাহলে দেশের চেহেরা পরিবর্তন হয়ে যাবে। তিনি শ্রমিকদের যথাযথ সম্মান দেওয়ার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানান। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সাড়ে পনেরো বছর আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি, টাকা পাচার, গুম-খুন ও উন্নয়নের নামে লুটপাটের ইতিহাস দৃষ্টি করেছে।
দেশের মানুষ আওয়ামী ফ্যাসিস্টকে যেমনি চায় না, তেমনি নতুন কেউ ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনায় আসুক এটাও চায় না। দেশের মানুষ সত্যিকারের একটি পরিবর্তন চায়। যেখানে আত্মমর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের একটি দেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি দেশবাসীকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার জন্য আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরে সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, কিন্তু দেশে এখনো চাঁদাবাজি চলছে। অবিলম্বে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করে তাদের চরিত্র শিয়াল-কুকুরে মতো। যারা শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছেন। তারা চাঁদাবাজি ছেড়ে দেন। না হলে চাঁদাবাজদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিম উল্যাহ পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমীর এডভোকেট নজির আহম্মদ, এ আর হাফিজ উল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/শিবলু/তারেক