ছবি: মেসেঞ্জার
টাকা ছাড়া মামলা রেকর্ড করেন না ওসি, অবস্থা এমন যেন কথা বলতে গেলে গুনতে হবে টাকা এমন অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। চাহিদা মতো ঘুস না দিলে এজাহার গ্রহণ করেন না ওসি জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগটি করেছেন ডিমলা উপজেলার জাবেদ আলী নামের এক ভুক্তভোগী।
২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) সকাল বেলা এমনটি অভিযোগ করে জাবেদ আলী বলেন, চলতি বছরের ১৮ নভেম্বর অভিযোগ দায়ের করলে মাঠে গিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত না করে চলে আসেন সুবোধ চন্দ্র রায়। পরে ২৫ নভেম্বর মামলা দায়ের জন্য জলঢাকা থাকায় গেলে আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন ওসি। টাকা দিতে রাজি না হলে এক পর্যায়ে বলেন আপনার এজাহার দায়ের করা সম্ভব হবে না। পরে আমরা কাছে ১০ হাজার টাকা হাতে নেন তিনি। পরবর্তীতে আসামী ধরতে বললে আমার কাছে আরও টাকা দাবি করে বসেন। টাকা দিতে অপারোগতা স্বীকার করলে দীর্ঘ একমাসেও একজন আসামীকে আটক করেননি তিনি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার নিজের জমিতে চাষাবাদে বাধা প্রয়োগ করে আসছে।
গোলনা ইউনিয়নের আরেক ভুক্তভোগী দেলোয়ার বলেন, আমার ১২ শতাংশ জমির ধান মাসুম আলী, বাদশা মিয়া, রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন কেটে নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। থানায় গেলে শুধু টাকার খেলা, যার যত টাকা তার রায়ও তত ভালো পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের সময়ের চেয়ে থানার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো থানায় আনাগোনা করছে। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?
ঘুসের বিষয় অস্বীকার করে জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি এ যাবৎ যত মামলা রেকর্ড করেছি কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। টাকা নিয়ে মামলা রেকর্ড করার কোনো নজির নেই।
মেসেঞ্জার/তুষার