ছবি : মেসেঞ্জার
আসলাম আলী ওরফে আলী আসলাম নামের সাবেক ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে ৯ কৃষকের প্রায় সাড়ে ৫ একর জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের হুমকির মুখে ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারগুলো।
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের মিশ্রিপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। ওই দিনই বাগাতিপাড়া মডেল থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি ৯ কৃষক।
কৃষকদের দায়ের করা অভিযোগে জানাগেছে, মিশ্রিপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব, মিঠন আলী, শফি উল্লার, নিরেন্দ্রনাথ, রনজিৎ মন্ডল, বাবলু মন্ডল, বাহাদুর মন্ডল, দিলিপ কুমার, কৃষ্ট পদ মন্ডলদের মালিকানাধীন ধানি ও বাগানসহ অন্তত ১৬ বিঘা জমি জবর দখলের চেষ্টা করা হয়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে দয়ারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসলাম আলী ওরফে আলী আসলামের নেতৃত্বে বাটিকামী গ্রামের এরাজ আলীর ছেলে ধুনা, আমির চাঁদের ছেলে হবু, নন্দীকুজা গ্রামের আতর আলীর ছেলে রায়েজ উদ্দিন, রমেজ উদ্দিন, আয়েজ উদ্দিন, চাঁদ, রয়েজ উদ্দিনের ছেলে হামজাসহ ১৮ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ কৃষি জমিগুলো দখলে নিতে মহড়া দেন। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ভুক্তভোগিরা। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী আব্দুল ওয়াহাব এবং লাল বাহাদুর মণ্ডল জানান, ‘ছাত্রদল নেতা ও তার অনুগতদের নিয়ে আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ থানায় অভিযোগ দিয়েও এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত দয়ারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসলাম আলী ওরফে আলী আসলাম বলেন, তিনি কারো জমি দখলের চেষ্টা করেননি। তাকে শত্রুতা করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান মিঠু বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার শালিস করা হলেও সামাধান আসেনি।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল হক বলেন, কৃষকদের দেওয়া অভিযোগটি তিনি পেয়েছেন। অভিযুক্তদের সাথে কথাও বলেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/খাদেমুল/তুষার