ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়ার নাড়ুয়ামালা - ভেলুরপাড়া সড়কটি দীর্ঘ ৮ বছর আগে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়েকর ৯ কিলোমিটার রাস্তা সংষ্কার না হওয়ায় চরম ঝুঁকি নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পথচারীরা। সড়কটি তিনটি উপজেলার জনসাধারণের অতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘদিনেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা হাট থেকে সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া নামক স্থান পর্যন্ত সড়ক দিয়ে ১০ বছর আগে শহর থেকে বাস চলাচল করত। কিন্তু রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এই সড়ক দিয়ে এখন বাস চলাচল করা তো দুরের কথা পায়ে হেটে যাওয়াও কষ্টসাধ্য। পুরো সড়কটি খানা খন্দকে পরিণত হওয়ায় ৯ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করতে পথচারীদের ৩০ মিনিটের স্থলে দেড় ঘন্টা সময় লাগে। এতে করে পথচারীরা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে পারছেন না।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত অনুপযোগী হয়ে গেছে। এই সড়কটি দিয়ে সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও গাবতলী উপজেলার জনসাধারণ চলাচল করতো। একসময়ে বগুড়া শহর থেকে সোনাতলা পর্যন্ত বাস চলাচল করতো। কিন্তু সড়কটির কাপেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দ ভরে যাওয়ায় চলাচল করতে পরিবহনের ঝাঁকুনিতে সুস্থরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ে পঙ্গুত্ববরণ করছে পথচারীরা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ এলজিইডির বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউনুস আলী বিশ্বাস জানান, জেলার গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা থেকে ভেলুরপাড়ার দূরত্ব প্রায় ৯ কিলোমিটার। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমি বগুড়ায় যোগদান করার পর সড়কটির অবস্থা দেখে সংস্কার করার জন্য প্রাক্কল বাজেট বরাদ্দের জন্য হেড অফিসের চিঠি পাঠিয়েছিলাম।সড়কটি সংস্কার করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। বাজেট অনুমোদন হয়েছে। খুব অচিরেই রাস্তাটির সংস্কার কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হবে। সড়কটি সংস্কার হলে এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
মেসেঞ্জার/তুষার