সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শামসুন নাহারের স্বামী মতিউর রহমান- টিডিএম।
রাজশাহীতে ভাগ্নের দোকান দখলে দুই মামার বিরুদ্ধে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মহানগরীর দাসপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শামসুন নাহার রাজপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছয়বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন শামসুন নাহার রুনা। স্বামী শিক্ষক মতিউর রহমান তার চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে ক্লান্ত। স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয়ে সহায়থার জন্য ছেলে মাহমুদুল হাসান অন্তরকে মুদি দোকান দিয়ে দিয়েছেন। ঐ দোকান দখলে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালান শামসুন নাহারের দুই ভাই।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, শামসুন নাহারের বড় ভাই রওসনুর রহমান রোকন ও শফিউর রহমান মামুন তাদের ভাগ্নে অন্তরের দোকান দখলে হামলা চালান। এতে দোকানের প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শামসুন নাহার বলেন, ‘১১ বছর আগে বিরোধের সূত্রপাত। তারা ৫ ভাই-বোন। বাবা-মা দুই বোনকে ১২ ছটাক জমি লিখে দেন। জীবিত বাবা-মায়ের আরও ৩ কাঠা জমি রয়েছে, ৩ ভাই পাবেন। ঐ জমি দ্রুত লিখে নিতে এবং বোনদের জমি থেকে ১১ লাখ টাকা দাবি করেন ভাই রোকন। দুই বোন অযৌক্তিক টাকার দাবি মেনে না নেওয়ায় ভাইয়েরা ক্ষিপ্ত হন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এতদিন চুপ ছিলাম। ভাই এতই নিচে নেমেছে, যে নেশার টাকার জন্য ভাগ্নের দোকানে চাঁদা চেয়েছে। আগেও দুইদফায় ৭ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে টাকা দেয়নি। রোকন কোনো পদে না থাকলেও নিজেকে মহানগর বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দেয়।’
সংবাদ সম্মেলনে শামসুন নাহারের স্বামী মতিউর রহমান কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমার স্ত্রী ছয় বছর ধরে ক্যানসারে সাথে লড়াই করছে। তার চিকিৎসায় আমরা সর্বশান্ত। চিকিৎসা সহায়তার নিজে শিক্ষক হয়েও ছেলেকে মুদি দোকান করে দিয়েছি। আরেক ছেলে টিউশনি করছে। নিজে বিএনপি করেও আজ কেনো নির্যাতিত হচ্ছি, সেটাই আমার প্রশ্ন।’
অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান রওসনুর রহমান রোকন। মহানগর বিএনপির পদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কী পদে আছি নিজেই জানি না। লোকজন বলে।’
নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার নলেজে নেই। এ রকম অভিযোগ থানায় পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার