ছবি : মেসেঞ্জার
অবশেষে টাঙ্গাইলের সেই আলোচিত ব্রীজটির উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার ব্রীজের কাজ চার বছর আগে শুরু হয়। কিন্তু পৌরসভার নির্দেশ না মেনে আওয়ামী পন্থী সাব ঠিকাদাররা নির্মান কাজ শুরুর ছয় মাসের মাথায় নির্মানাধীন ব্রীজটি দেবে যায়। এঘটনায় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়। ব্রীজটি দেবে যাবার ফলে টাঙ্গাইলের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে গত কয়েক বছর চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪১.৭০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্রিকস অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড অ্যান্ড দ্য নির্মিতি (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর।
টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, ব্রীজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেন স্থানীয় এমপির বাহামভুক্ত কয়েকজন নামধারী ঠিকাদার। মুল স্ল্যাব ঢালাই কাজের আগে নদীর মধ্যে বালির বাঁধ নির্মাণ করে তার উপর গজারি বল্লি স্থাপন করে সাটার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ঠিকাদাররা। পৌর কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও তা মানা হয়নি। পরে পানির স্রোতে ব্রীজটি দেবে যায়। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি গঠন হলে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে ঠিকাদার নিজ অর্থায়নে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন করেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রীজের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/মোস্তফা/তুষার