ছবি : মেসেঞ্জার
হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে পলাতক ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের টাকাসহ গাড়ি সরিয়ে ফেলায় অভিযুক্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা এনামুল হক এনামকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর, দেশ ধ্বংসকারী বিতর্কিত এনামুল হক এনাম আওয়ামী লীগ আমলে একজন চাল ব্যবসায়ী হিসেবে আতাত করে রাজনীতি করেছে৷ তার কারণে বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এনামুল হক এনাম ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর আ’লীগের দোসর হিসেবে কাজ করে এস আলমের গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার কাজে জড়িত ছিল।
শুধু তাই না আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন এবং মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও দাবি তাদের। সম্প্রতি এক যুবলীগ নেতার বিয়েতেও অংশ নিয়েছেন এনাম। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ফোন বন্ধ করে বেড়িয়েছেন তিনি। এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপির পরিচয়কে পুঁজি করে নিজে ও তার অনুসারীরা শুরু করেছে বিভিন্ন অপকর্ম।
পটিয়া পৌরসভা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক মামুন স্বর্ণ ডাকাতি করে বহিষ্কার হয়েছেন, তার অনুসারী দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী দখল করেছেন বিএনপি নেতার বাড়ি, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের মাধ্যমে এনামুল হক এনাম মামলা ভয় দেখিয়ে আদায় করেছেন টাকা। এছাড়া ব্যবসায়ী ইসমাইল মেম্বারকে উপজেলার প্রকল্প ভাগিয়ে দিবেন বলে খোরশেদ নিয়েছেন গাড়ি উপহার। উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি শামশুর ব্যবসা দখল করেছেন এনাম অনুসারীরা। মানববন্ধন থেকে বিএনপির মূলধারার নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, আওয়ামী লীগকে আশ্রয় ও এস আলমের দেশদ্রোহী চক্রান্তে জড়িত থাকায় এনামুল হক এনামকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, এস আলমের গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার কান্ডে জড়িত থাকায় গত ১ সেপ্টেম্বর এনামসহ তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত করা হয়। কিন্তু গত ২৫ ডিসেম্বর সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফলে বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। এত বড় অপরাধে সরাসরি জড়িত থাকা পরও এনামুল হক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হচ্ছে শুনে নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে।
মেসেঞ্জার/সাখাওয়াত/তুষার