ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রামের পটিয়ার পূর্ব হাইদগাঁও গ্রামের ভাংগাপুল এলাকায় স্থানীয় অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত দরিদ্র কৃষক সামসু ৯দিন পর চমেক হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মারা গেছেন। তিনি পটিয়া উপজেলার পূর্ব হাইদগাঁও ইউনিয়নের মাহাদাবাদ গ্রামের মরহুম কলিম মিয়ার পুত্র। তার ১ ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৭) ও ১ মেয়ে কানিজ ফাতিমা (১১) রয়েছে।
তার স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, আমার স্বামী গত ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় বাজারের উদ্দেশ্য পটিয়া শহরে যাবে বলে ঘর থেকে বের হয়। বিওসি রোডস্থ ভাংগাপুলে পৌঁছলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইউনুচের (বাচাঁ) নেতৃত্বে ১০/১২জন সন্ত্রাসী লোহার রড, লাঠি, দা, কিরিচ নিয়ে আমার স্বামীর উপর সকলে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিরিচের আঘাতে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। বেধম পিটুনির আঘাতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তারা মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এলাকাবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তিনি একটানা ৯ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তিনি বলেন, এলাকায় জায়গা দখল নিয়ে সামসুর সাথে ইউনুসের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। উক্ত জায়গা দখলে বাধা হয়ে দাড়াঁয় সামসু। তার প্রতিশোধ নিতে গত ১৪ ডিসেম্বর ইউনুসের নেতৃত্বে সামসুর উপর ১ম বার হামলা করেন। এতে সামসু পটিয়া থানায় ইউনুস (বাঁচা) কে ১ম আসামি করে মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনুছ মামলা তুলে ফেলতে সামসুকে চাপ দিতে থাকেন। সামসু মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় গত ২১ ডিসেম্বর পটিয়া বাজারে যাওয়ার পথে তার নেতৃত্বে হামলা করে।
এ ব্যাপারে সামসুর স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ইউনুচকে প্রধান আসামি করে ১৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন, এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথে প্রধান আসামি ইউনুচসহ ২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন, অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না। যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনা হবে।
মেসেঞ্জার/রানা/তুষার