ছবি : মেসেঞ্জার
প্যারোলে মুক্তি না পেয়ে কারগারের গেইটে বাবা জিয়া উদ্দিনকে শেষবার দেখলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাজমুল হুদা রুবেল। পরে, সেখানেই বাবার জানাজা পড়েন তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুল্যান্সটি কারাগারের গেইটে নিয়ে যায় স্বজনেরা।
এর আগে গতকাল রবিবার রাতে ইউপি চেয়ারম্যান রুবেলের বাবা জিয়া উদ্দিন রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরে, ইউপি চেয়ারম্যানের আইনজীবী সুজিত কুমার দে জেলা প্রশাসকের কাছে বাবার জানাজায় অংশ নিতে রুবেলকে প্যারোলে মুক্তি দিতে আবেদন করেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিজাবে রহমত জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতামত নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে আবেদনটি নামঞ্জুর করা হয়। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে তার মৃত বাবাকে জেলগেটে দেখানোর ব্যবস্থা করতে কারা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়।
রুবেলের মা নূর জাহান বেগম বলেন, অনেক চেষ্টা করেও কিছুক্ষণের জন্য ছেলের মুক্তির ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই জেলেই ওর বাবার লাশ নিয়ে এসেছি ছেলেকে শেষবারের মত দেখানোর জন্য।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। তবে কোন পদ-পদবী নেই। আওয়ামী লীগ সমর্থক হওয়ার কারণেই তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে।
দুপুরের দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুল্যান্স কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মরদেহের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান রুবেলের মা নূরজাহান বেগম ও অন্য স্বজনরাও সেখানে যান। তবে তার মা ব্যাতিত অন্য স্বজনরা রুবেলের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা রুবেলেরর বিরুদ্ধে।
এসব মামলায় পলাতক থাকাকালে গত ২ নভেম্বর রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে বন্দী রয়েছেন।
মেসেঞ্জার/তুষার