ছবি : মেসেঞ্জার
আশাদুল ইসলাম। বয়স প্রায় ২৮ বছর। যেখানে যায় মানুষ তাকে ঘিরে ধরে, ছবি তোলে। ধারণ মানুষের উচ্চতার চেয়ে তার উচ্চতা অনেক বেশি। উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট, ওজন প্রায় ১০৫ কেজি। ধারনা করা হয় আসাদুল ইসলামের চেয়ে লম্বা মানুষ বাংলাদেশে আর নেই।
আসাদুলের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ভৈরব বাজারের পাশে শ্রীপুর পাবনা পাড়া গ্রামে। পেশায় তিনি পাওয়ার টিলার চালক ও কৃষক। তাকে দেখার জন্য নানা এলাকা থেকে মানুষ আসেন তার বাড়িতে। এলাকাবাসীর দাবি, বাংলাদেশে আশাদুল সবচেয়ে লম্বা মানুষ।
ওই গ্রামের ফজের আলীর তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে আশাদুল ইসলাম সবার ছোট। ছোটবেলায় সাধারণ মানুষের মতোই ছিল আশাদুল। যখন তার ১০ বছর বয়স তখন থেকে হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হতে থাকে আশাদুল। শারীরিকভাবে কোনো সমস্যা নেই আশাদুলের। গরিব বাবার সংসারে জন্ম নেওয়া আশাদুল লেখাপড়া করেননি। মাঠে কৃষিকাজ করেন তিনি।
আশাদুল ইসলাম বলেন, আমি যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কোনো স্থানে যাই তখন মানুষজন আমাকে ধরে সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকে। এতে করে মানুষের আনন্দের পাশাপাশি আমিও মজা পাই। কখনও আমি রাগ করি না। কারণ আগেকার মানুষ এমন লম্বা ছিল তাই আল্লাহ আমাকে লম্বা বানিয়েছেন।
তবে ঘর থেকে বা কোনো দোকানে ঢুকতে গেলে অনেক সময় মাথায় আঘাত পাই। গায়ের পোশাক থেকে শুরু করে সব কিছুই আগে অর্ডার দিয়ে বানাতে হয়। এটাই আমার বড় সমস্যা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রীর নাম মায়া খাতুন। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের নাম আবীর হোসেন (৭) ও ছোট ছেলে আলভী (দেড় মাস)।
ওই গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন, আমি বিভিন্ন এলাকায় অনেক ঘুরাঘুরি করছি। কিন্তু আশাদুল ইসলামের মতো লম্বা মানুষ কখনও দেখিনি। আমি তার কাছে দাঁড়ালে মনে হয় একেবারে ছোট মানুষ। তিনি পেশায় একজন পাওয়ার টিলার চালক। তাকে দেখতে নানা এলাকার মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, শরীরের বিভিন্ন হরমোনের অস্বাভাবিক ক্রিয়ার কারণে মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অঙ্গের গঠনও বৃদ্ধি পেতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
মেসেঞ্জার/বিপাশ/তারেক