ছবি: মেসেঞ্জার
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে হালদা নদীর মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও সংরক্ষণে অংশীজনের উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (২য় পর্যায়) মৎস্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র ও মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের বাস্তবায়নে অংশীজনদের নিয়ে উদ্দুদ্ধকরণ সেমিনার বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ এর সম্মেলন কক্ষ ‘কিন্নরী’ তে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ এর সভাপতিত্বে উক্ত উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন। এসময় তিনি বলেন, হালদা নদী বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নদীতে এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য হালদার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই নদীর স্বতন্ত্র অবস্থা যেন বিনষ্ট না হয়, এখানে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এর যাতে দূষণ না হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়গুলো নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।
এছাড়া হালদা নদীর রুই মাছ জাতীয় মাছের রক্ষায় কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলি নদীর দুষণটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে আলোকপাত করেন, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অধিদপ্তরে হালদা নদীর প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা (২য় প্রকল্প) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মুহম্মদ মিজানুর রহমান এবং প্রকল্পের হ্যাচারী অফিসার নাজমুল হক। কাপ্তাই উপজেলা (অতি:) সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মো. এরশাদ বিন শহীদ এর সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, কাপ্তাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বরূপ মুহুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদ, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমেদ। সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী, হেডম্যান, এনজিও কর্মী এবং মৎস্যজীবিরা অংশ নেন।
মেসেঞ্জার/তুষার