ঢাকা,  রোববার
০৫ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

নো বিফ হোটেল বর্জনের দাবিতে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের সমাবেশ

জবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৯:১৪, ২ জানুয়ারি ২০২৫

নো বিফ হোটেল বর্জনের দাবিতে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের সমাবেশ

ছবি : মেসেঞ্জার

নো বিফ হোটেল (গরুর মাংস রাখেনা এমন হোটেল) বর্জন ও সকল খাবার হোটেলে গরুর মাংস রাখার দাবিতে সমাবেশ করেছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ নামক একটি সংগঠন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকালে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন হোটেল নিউ রাজধানী ও হোটেল রাজের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। পরে সমাবেশকারীদের প্রতিবাদের মুখে নো বিফ নীতি থেকে সরে এসে গরুর মাংস রাখবে বলে জানিয়েছে এ খাবার হোটেল দুইটি।

হোটেল দুটির সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আরিফ আল খাবীর, সভাপতি সাদমান সায়মন, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী উসমান আয়ুবী ও শাহজালাল।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হচ্ছেন মুসলমান। মুসলমানরা খাবার হোটেলে গরুর গোশত খেতে চায়। কিন্তু গরুর গোশতের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও গুলিস্তানের হোটেল নিউ রাজধানী ও হোটেলে রাজ কর্তৃপক্ষ হিন্দুত্ববাদীদের কথা বলে হোটেলে গরুর গোশত রাখে না। এতে মুসলিম ভোক্তারা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হিন্দুত্ববাদীদের কথা চিন্তা করে হোটেলকে গরুর গোশত না রাখা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের খাদ্য অধিকার হরণ।

মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের বক্তাগণ বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রতিনিয়ত গরুর গোশতের জন্য মুসলমানদের নির্মমভাবে শহিদ করা হচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পরও যে সব হোটেল মালিক হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে তাদের হোটেলে গরুর গোশত রাখে না, তারা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দালাল ও বিজেপির এজেন্ট। তারা বাংলাদেশকে ভারত বানাতে চায়।

সমাবেশে বক্তাগণ আরও বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় ইহুদি খ্রিস্টানরা মুসলমানদের কথা বিবেচনা করে কখনই হোটেলে হালাল খাবার রাখে না। বাধ্য হয়ে মুসলমানরা নিজেদের জন্য পৃথক হালাল হোটেল খুলে। হিন্দুদের যদি প্রয়োজন হয়, তবে তারা নিজেদের জন্য হিন্দু নাম দিয়ে পৃথক হোটেল খুলতে পারে, কিন্তু মুসলিম হোটেলে হিন্দুদের জন্য মুসলমানদের বঞ্চিত করে গরুর গোশত পরিবেশন বন্ধ রাখা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে খাবার হোটেলগুলোকে বাধ্যতামূলক গরুর গোশত রাখতে হবে। হোটেলে গরুর গোশত থাকা প্রমাণ করবে ঐ হোটেল মালিক ভারত কিংবা হিন্দুত্ববাদীদের দালাল নয়। যদি কোন হোটেলে একটিও গরুর গোশতের তরকারি না থাকে, তবে সে হোটেলটি হিন্দুত্ববাদী হোটেল ও ভারতের দালাল বলে প্রমাণিত হবে। সেই হোটেলটিকে সারা দেশব্যাপী বর্জনের ডাক দেয়া হবে।

মেসেঞ্জার/ইমরান/তুষার