ছবি: মেসেঞ্জার
পৃথিবিতে জ্ঞানী-গুনি অনেক ব্যক্তি পাওয়া যায় কিন্তু আনুগত আমলদার বান্দা পাওয়া যায় না। ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন ভাই একজন আনুগত, আমলদার এবং সংগঠনের নিবিড় বন্ধনের মধ্যে ছিলেন।
৩ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুর আড়াই টায় নীলফামারীর টুপামারী কাছারিপাড়া ঈদগাহে ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন এর অনুষ্ঠিত জানাজায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হালিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার রেখে যাওয়া মতো অর্থ সম্পদ দিক থেকে কোন কিছু বলার মতো নেই। এ বড় দায়িত্বে যারা থাকে তার চেয়ে বিপুল অর্থ সম্পদ কামাইতে পারে। ওই দিকে ওনার মন ছিলো না, এই জন্য আল্লাহ তায়ালার একজন মহান গোলাম আমরা হারিয়ে ফেললাম। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করছি তাকে যেন আল্লাহ জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন।
তিনি ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমরা আশা করি পরবর্তী দায়িত্বশীল যারা আসবে ওনাকে অনুসরণ করে এই বিভাগকে পরিচালনা করবে। যখন এই ফোরাম শুরু করেন তখন থেকেই আমি জড়িত ছিলাম। তিনি কাজ আদায় করা ছাড়া ছাড়তে না। দেশের জন্য তার অবদান ভুলার মতো নয়।
নীলফামারীর টুপামারী কাছারিপাড়া ঈদগাহে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে দাফন করেন। মৃত্যুকালে তার ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন।
জানাজা নামাজ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা রাখেন, নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, সেক্রেটারী আন্তাজুল ইসলাম, ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রমূখ।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন মৃত্যু বরণ করেন।
মেসেঞ্জার/রিপন/জেআরটি