ঢাকা,  বুধবার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

বেনাপোল স্থলবন্দরে সার্জিক্যাল ও ওষুধ সামগ্রী আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ

বেনাপোল প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১১:৪২, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

বেনাপোল স্থলবন্দরে সার্জিক্যাল ও ওষুধ সামগ্রী আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ

ছবি: মেসেঞ্জার

বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নম্বর শেড থেকে পণ্য খালাশ নিয়ে যাওয়র পথে ঘোষণা বর্হিভূত মেডিকেল ইকুভমেন্ট, সানগ্লাস, সার্জিকেল গুডস ও বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের ওষুধ ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) রাত ১১ টার দিকে পণ্য চালানটি বন্দর থেকে বের হওয়ার সময় আহাদ পার্সেলের যশোর ট-১১-৪৯২১ নম্বরের কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে কাস্টমস-বিজিবি যৌথ চেকপোস্ট বাঁশকলে স্থলবন্দর হতে লোড হয়ে আসা আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই কাভার্ডভ্যানটি আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার আবু সালেহ আব্দুন নূর।

তিনি জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়, বন্দরের ৩৫ নম্বর শেড থেকে কাস্টমস এবং বন্দরের সমস্ত কার্যক্রম শেষ করে ঘোষণা বর্হিভূত মেডিকেল ইকুভমেন্ট, সানগ্লাস, সার্জিকেল গুডস ও বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের মেডিসিনসহ চালানটি কাস্টমস হাউসের যৌথ চেকপোস্টে আসছে।

সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির পন্যচালানটি বাঁশকল চেকপোস্টে আসা মাত্র সন্দেহজনক আটক করা হয়। আটককৃত পণ্য চালানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরবর্তীতে সঠিক হিসাব নিকাশ করে গণমাধ্যমকর্মীদের আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক পণ্য চালান আটক হওয়ায় বন্দরের ব্যবস্থাপনা ও শেড ইনচার্জদের কর্মকান্ড নিয়ে এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যগার হতে খালাস নেওয়া পণ্য চালানে কিভাবে ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য ঢুকছে বা একাজে কারা জড়িত জনমনে এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে বৈধ পণ্যের সাথে স্থলবন্দরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্র থেকে জানা যায়, ভারত হতে আমদানিকৃত ১২ টন ওজনের ২৩৫ প্যাকেজের এই পণ্য চালানটি গত সপ্তাহে বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টমস থেকে পণ্য চালানটি ছাড়করনের জন্য কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেন বেনাপোলের ‘মেসার্স আলতাফ এন্ড সন্স’ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে জানতে বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নম্বর শেড ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কাফির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ না পাওয়াই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান জানান, বেনাপোল বন্দরে পণ্য চালান প্রবেশ ও খালাস প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষন করা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে ঘোষণা বর্হিভূত বিভিন্ন পণ্য প্রবেশ করাচ্ছে। এছাড়াও বন্দরের গেট ব্যবস্থাপণা দুর্বল। আমি নতুন এসেছি শুল্ক ফাঁকি রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া বন্দরে কন্টেইনার ব্যবস্থাপনা চালু হলে রাজস্ব ফাঁকি কমবে বলেও তিনি জানান। 

 

মেসেঞ্জার/জামাল/জেআরটি