সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানের ছবিটি শনিবার ভোরে মাওয়া থেকে তোলা - টিডিএম।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে সড়কের নিয়ম না মানা, ওভার ট্রাকিং ও মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানোর অভিযোগে প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি বিভিন্ন যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
এ সময় চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস না থাকায় জব্দ করা হয়েছে ৪টি যাত্রীবাহী বাস ও একটি মোটরসাইকেল।
শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালকদের সচেতনতা তৈরি লক্ষে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এরপর মধ্যরাতে যানবাহনের গতিনিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয় স্পিড মিটার। এতে ধরা পড়ে ঘন কুয়াশার মধ্যেও যানবাহনের মাত্রা অতিরিক্ত গতি। পরে সেসব গাড়ি থামিয়ে মামলা দেয় পুলিশ। এ সময় চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেসসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশায় একের পর এক দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে গভীর রাতে যানবাহনের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের ৮টি, জেলা পুলিশের ৩টি ও র্যাব-১০ এর ১টি টহল গাড়ি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
পরে, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীনসহ গতি সড়কের নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগে যানবাহনকে সড়ক পরিবহন আইনের আওতায় আনা হয়।
তিনি আরও জানান, মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে হাইওয়ে পুলিশ। সড়কের নিয়ম শৃঙ্খলা অমান্য করলেই নেয়া হচ্ছে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা। এতে নিয়মিত মামলা দেয়ার পাশাপাশি জব্দ করা হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন।
ছবির ক্যাপশন: TDM।
প্রতিবেদক: ঘোষ, জেলা প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ।
মেসেঞ্জার/শুভ/তুষার