ছবি : মেসেঞ্জার
স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান ও জরিমানার পরও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চলছে ফসলি জমি কাটার মহাৎসব।
উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মানচিত্র থেকে উধাও করে দিচ্ছে কিছু দৃষ্কুতকারী। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ২ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফসলি জমি না কাটার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই নিদর্শনা অমান্য করে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, হাটহাজারীর ৯নং গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৬, ৭ নং ওয়ার্ডের হালদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রায় ২০ একর ভরাটকৃত সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গাতে স্থানীয়রা চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কিন্তু কিছু দিস্কৃতকারী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে অভিযোগে উল্লিখিত ব্যক্তি মহিউদ্দীন শিবলু প্রকাশ বাচা ও মদন তালুকদার, নুরুল ইসলামের ছেলে ইসমাইল, স্কাভেটর ও ড্রাম ট্রাকের মালিক মো. ফোরকান মেম্বার, কেফায়েত উল্লাহ, মন্জু, মনা, গুরুন চৌধুরী, করিম ড্রাইভারসহ কিছু দুষ্কৃতকারী রাত আর দিনে সমানতালে হালদা নদী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জাযগা থেকে প্রতিদিন ড্রাম ট্রাক ভর্তি করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
কিছুদিন পূর্বে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন সরজমিনে গিয়ে মাটি খেকোদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আবার গত কয়েদিন পূর্বে আবারো ইউএনও ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে স্কাভেটরের ব্যাটারি জব্দ করেন।
স্থানীয় জমির মালিকেরা ও এলাকাবাসী এসব ব্যাপারে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে অভিহিত করলে প্রশাসন লোক পাঠিয়ে সরেজমিনে গিয়ে মাটি কাটতে নিষেধ করার পরও তারা আরো বেপরোয়া হয়ে দিনে রাতে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে আরো উল্লেখ যে, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বড় কোন শাস্তির ব্যবস্থা না নেওয়ায় এসব ব্যক্তিরা মাটি কাটা অব্যাহত রাখে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এবিএম মসিউজ্জামান বলেন, "আমরা কিছুদিন পূর্বে সরেজমিনে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। আবারো গত বুধবার রাত ২টায় আমরা অভিযান পরিচালনা করতে গেলে কাউকে না পেয়ে আমরা মাটিকাটার স্কাভেটরের ব্যাটারি জব্দ করি। আমরা অভিযান পরিচালনা করার জন্য গেলে তারা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আমরা বারবার অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দূবৃর্ত্তদের আটক করতে পারিনি। আমরা আমাদের অভিযান অব্যহত রেখেছি"।
স্থানীয় সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা নিরুপায়। আমরা না প্রতিবাদ করতে পারছি না নিজ এলকায় থাকতে পারছি। কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিবাদ করাতে দূবৃর্ত্তরা ওসব ব্যক্তিদের বসতবাড়িতে হামলা করে বলে জানান স্থানীয় জনসাধারণ। আমরা নিরুপায় হয়ে চট্টগ্রাম ডিসি মহোদয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করি।
মেসেঞ্জার/সুমন/তুষার