ছবি : মেসেঞ্জার
নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ও নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাদক সম্রাট আবু সায়েম সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টায় সৈয়দপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবু সায়েম সরকার নিজেকে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের ভাতিজা পরিচয় দিয়ে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। মাদক সম্রাট হিসেবে পুরো উপজেলায় ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে তার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় রাতের আঁধারে ভারত সীমান্ত থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ নিষিদ্ধ নেশাজাতীয় দ্রব্য চোরাচালান করতেন। ভূমিদস্যু গ্রুপের অন্যতম সদস্য। তার নেতৃত্বে ২০২১ সালে এড. মামুনার রশিদ পাটোয়ারী নামে এক আইনজীবির বাড়িতে হামলা এবং জমি বেদখলের বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের হয়। ২০২৪ সালে ডিমলা উপজেলার কুটিরডাঙ্গা গ্রামে চাঁদাবাজি ও জোরপূর্বক ভূমি দখলের দায়ে স্থানীয় একবাসিন্দা তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ২৬/২৪ জিআর পিটিশিন দায়ের হয়।
তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে নিরীহ জনগণের জমি দখল ও অর্থ আত্মসাৎ করতেন। ডিমলায় আগুন খোয়া বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস পারভেজ এর ডান হাত হিসেবে ব্যবহার হতো বলে জানা গেছে। এছাড়াও তার বাহিনীর মাধ্যমে স্কুলের নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগও রয়েছে। জনরোষের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।
কোটা আন্দোলনের সময় ডিমলা ও নীলফামারীতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আবু সায়েম সরকার। ডিমলা উপজেলার কুটির ডাঙ্গার একটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি এই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আবু সায়েমকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দপুর থানা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহী জানান, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের ডিমলা উপজেলা আহ্বায়ক আবু সায়েমের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মেসেঞ্জার/রিপন/তুষার