ছবি : সংগৃহীত
যশোরে ঘন কুয়াশার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস- সিএনজি সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সকলে সিএনজির যাত্রী। বোরবার (৫ জানুয়ারি) সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম হারুন হোসেন (৫০)। তিনি সদরের কাশিমপুর ইউনিয়নের সরুইডাঙ্গা গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন, সরুইডাঙ্গা গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫০), বাচ্চুর স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩৫), ছেলে আবু বক্কার (৮), আশাদুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা খাতুন (৫০), আকবার আলীর ছেলে শামীম, শফিয়ারের ছেলে লিটন হোসেন (২৮) ও আবুল কাশেমের ছেলে ফারুক(৪৫)। তারা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে যশোর উপশহর নিউমার্কেট স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৩৭১৭) মাগুরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে পাঁচবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছালে সামনে থেকে আসা সিএনজির সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা সকলে আহত হন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ৮ জনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে মারা যান হারুন।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জালাল লসকার জানান, যাত্রীবাহী বাসটি অল্প গতিতে যাচ্ছিলো। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিএনজি দুমড়েমুচড়ে গেছে।
আহতদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে তারা সিএনজি চড়ে দেয়াড়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামে উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হলে এই হতাহতের ঘটনাটি ঘটে।
হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথা ও বুকে প্রচন্ড আঘাত লাগার কারণে হারুনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৭ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/তুষার