ঢাকা,  বুধবার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

পটিয়ায় দিনমজুর সামশুল আলম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

পটিয়া প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)

প্রকাশিত: ২০:১১, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

পটিয়ায় দিনমজুর সামশুল আলম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

চট্টগ্রামের পটিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত দিনমজুর সামশুলের দুই অবুঝ সন্তান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অসহায় স্ত্রী সুমি আক্তার -টিডিএম।

পটিয়ার হাইদগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নীরিহ দিনমজুর সামশুল আলম এর উপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। তার মৃত্যুতে অবুঝ দুই সন্তান কানিজ ফাতিমা (১১) ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৭) কে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন স্ত্রী সুমি আক্তার। এতে দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ দুশ্চিন্তাই চোখে অন্ধকার দেখছেন দুই সন্তান নিয়ে স্বামী হারা গৃহবধূ সুমি আকতার। খুনিচক্র স্বামী হারা বাদীর স্বজনকে ঘায়েল করতে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্যে তার স্ত্রী সুমি আকতার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকাকালে তার প্রতিবেশী যারা আমাদের আর্থিক ও নানাভাবে সহযোগিতা করেছে তাদেরকে উল্টো চুরি ও ডাকাতি মামলায় ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদে সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে পটিয়া পৌর সদরে একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন গৃহবধূ সুমি আকতার। এসময় তিনি স্বামী হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানান।

লিখিত বক্তব্যে সুমি আকতার জানান, গত ১৪ নভেম্বর হাইদগাঁও সাতগাছিয়া দরবার শরীফ এলাকা হতে লেবু বিক্রি করে পটিয়া সদরে ফিরছিলেন দিনমজুর সামশু। পথিমধ্যে ভাঙাপুল এলাকায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে তাকে মারধর করে করা হলে পটিয়া থানায় তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ ইউনুচ, নাছির, রফিক, মাঈনুল, রাজ, আবু মোরশেদ, মারুফ, মো. মুছা, মিন্টু, সায়েমসহ ২৫-৩০জন লোক গত ২১ ডিসেম্বর বিকেলে ভাঙাপুল এলাকায় তার পথরোধ করে।

এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এসময় তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ রক্তাক্ত হয়ে যায়। এ অবস্থায় মাটিতে লুঠিয়ে পড়া সামশুকে টানাহেঁছড়া করে ইউনুচের পাশ্বর্বতী মুদি দোকানের গুদামে লুকিয়ে রাখেন। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী গিয়ে তাকে রক্তাক্ত ও মূমুর্ষ অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যায়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর সকালে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

এ নিয়ে ২২ ডিসেম্বর নিহত দিনমজুর সামশুর স্ত্রী সুমি আকতার বাদী হয়ে মো. ইউনুচ প্রকাশ বাঁচাকে প্রধান আসামী করে ১৬জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত সামশুর স্ত্রী সুমি আকতার বলেন, তাদের একটি জায়গা  মোহাম্মদ ইউনুচ নানাভাবে গ্রাস করতে চেয়েছিল। আমার স্বামী বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই। তিনি আরো বলেন, আমার দুই অবুঝ অসহায় সন্তান নিয়ে আমি কোথায় কার কাছে গিয়ে দাঁড়াবো। তাদের ভরণপোষণ ও পড়ালেখা অনিশ্চত হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদেরও গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

মেসেঞ্জার/রানা/তুষার

আরো পড়ুন