ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক দুটি ফিশিং ট্রলার, ৭৮ জেলে ও নাবিকসহ ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৯০ বাংলাদেশি এসে পৌঁছেছেন চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পতেঙ্গার কর্ণফুলী চ্যানেলের ১৫ নং ঘাটে এসে পৌঁছান তারা। বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি ফিশিং ভেসেলও ফেরত এসেছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারতে আটক থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে/নৌকর্মী এবং বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলেকে পারস্পরিক হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এর আগে ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ঘটনার পরদিন খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সমুদ্র থেকে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছিল।
আটক দুটি নৌযান হলো ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। আর এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি (২৭ নভেম্বর) মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। (২০ ডিসেম্বর) ঘাটে ফেরার কথা ছিল। ট্রলারটিতে ৪১ জন নাবিক-জেলে রয়েছেন। এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি (২৪ নভেম্বর) সাগরে যায়। (১৪ ডিসেম্বর) ফিরে আসার কথা ছিল। এটিতে ৩৭ জন নাবিক-জেলে আছেন।
ভারতীয় জলসীমায় মাছ শিকারের অভিযোগ এনে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। পরে তাদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আদালতের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে রাখা হয়। এছাড়া (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। ওই নৌকায় থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদেরও অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে রাখা হয়।
মেসেঞ্জার/তারেক