ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রামের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় হোটেল জামান রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানি হাউজ যেন এক অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে প্রতিবারই জরিমানা গুনছে এ প্রতিষ্ঠান। তবু শোধরানো গেল না তাদের। এবার ভোক্তার অভিযানে রান্না করা বাসি খাবারসহ ফাঙ্গাসযুক্ত মাংস পাওয়া গেছে এ প্রতিষ্ঠানের ফ্রিজে। জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। এছাড়া কিচেন রেস্টুরেন্ট ও হোটেল লায়লাকেও জরিমানা করা হয়েছে নানা অসংঘতির কারণে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) নগরীর কাজীর ডেউড়ি বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ জানান, হোটেল জামান রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানি হাউজে রান্না করা, বাসি, ফাঙ্গাসযুক্ত মাংস বিক্রির জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছে। এছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে কিচেন রেস্টুরেন্টে রান্না করা বাসি খাবার বিক্রির জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করা, অননুমোদিত রঙ ব্যবহার ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হোটেল লায়লাতে অননুমোদিত কেমিক্যাল ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করায় ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে ইকরা মেডিসিন সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা এবং অন্যের মোরক বিধি লংঘন করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি জানান, চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন অপরাধ যেন আর না করে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
হোটেল জামান রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানি হাউজ ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে প্রতিবারই জরিমানা গুনছে। তবে কেন এ প্রতিষ্ঠানের উপর কঠোর আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে না তা জানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান দ্যা ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না। এর আগেও তাদেরকে স্বল্পপরিসরে জরিমানা করা হয়েছে। এবার প্রতিষ্ঠানটিকে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির এমন কার্যকলাপে সাময়িক সিলগালা করে কঠোর আইন প্রয়োগ করবে ভোক্তা অধিদপ্তর। এছাড়া তাদের ব্যবসায়িক লাইসেন্সও বাতিল করতে পারে ভোক্তা অধিদপ্তর।
মেসেঞ্জার/সাখাওয়াত/তুষার