ছবি : মেসেঞ্জার
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী নদী বন্দরের ভাসমান তেল ডিপো স্থায়ী করণ ও আগামী ইরি মৌসুমের শুরুতে জ্বালানী তেল সরবরাহের দাবীতে কুড়িগ্রাম জেলার কৃষক শ্রমিকরা মানববন্ধন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় চিলমারী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে রংপুর বিভাগ ট্যাংলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে মাটিকাটা-জোড়গাছ সড়কে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্বারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ট্যাংলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক, চিলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু, প্রেসক্লাব চিলমারীর সভাপতি মনিরুল আলম লিটু।
এসময় বক্তারা দ্রুত ভাসমান তেল ডিপো চালু ও স্থায়ীকরণের দাবী জানান।
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভাসমান তেল ডিপো যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের বার্জ দুটি জ্বালানি তেলশূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তেল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ ভোক্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্য সংকট দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তেলশূন্য অবস্থায় আছে বার্জগুলো। অথচ এই ব্রহ্মপুত্র নদের রুট ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এই রুটে চলাচল করছে ফেরি।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে মেঘনা ও যমুনা কোম্পানির দুটি ভাসমান তেল ডিপো স্থাপিত হয় চিলমারীতে। ডিপো দুটির অনুমোদিত ২২ জন ডিলার রয়েছেন।
মেসেঞ্জার/রাফি/তুষার