ছবি: প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ‘একটি নতুন এবং ব্যতিক্রমধর্মী পার্লামেন্ট গঠন করার জন্য আনুপাতিক হারের নির্বাচন পদ্ধতির দাবি করছি। ঐ পদ্ধতির মাধ্যমে যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় জনগণ একটি দলকে ভোট দেবে, মার্কা কে ভোট দেবে, কোন ব্যক্তিকে ভোট দেবেনা। ব্যক্তির ভোট যদি বন্ধ হয়ে যায় নির্বাচনে হানাহানি বন্ধ হয়ে যাবে, কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ হবে। ’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে টেকনাফ পৌর জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ব্যক্তির পরিবর্তে দলকে ভোট দিলে দলে যারা মেধাবী, সৎ ও যোগ্য তাদের নিয়ে পার্লামেন্ট গঠিত হবে। এরকম একটি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পক্ষে গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমাদের ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে আমাদের কণ্ঠকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। শুধু আমাদের কণ্ঠ না আমাদের প্রিয় জন্মভূমি এই বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদের কাছে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। হাসিনার নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে তার নেতৃত্ব দেয়ার সকল ভিত্তিগুলো ছিল অবৈধ ও স্বৈরাচারী। এদেশের সকল স্বৈরাচার বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা ছিল। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও জামায়াতের সবসময় বলিষ্ট ভূমিকা ছিল।
টেকনাফ পৌর জামায়াতের সভাপতি মু. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, সেক্রেটারী জাহেদুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সেক্রেটারী নুরুল হোসাইন ছিদ্দিকী, উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল্লাহ, সেক্রেটারী মাওলানা ফোরকান আহমদ, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী সরওয়ার কামাল সিকদার, পৌর জামায়াতের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুস সোবহান ও উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি তারেকুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমীর ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, একটি সরকারের জন্য, প্রশাসনের জন্য জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার চেয়ে আর কোন বড় দায়িত্ব থাকতে পারেনা। টেকনাফের মানুষ বর্তমান পরিস্থিতিতে অপহরণ আতঙ্কে ভুগছে। কখন কাকে তুলে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ আদায় করছে সবার মাঝে এ ধরনের আতঙ্ক কাজ করছে। তাই আমাদের দাবি, অনতিবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টাস্কফোর্স বন্ধ করে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ে অপহরণ বন্ধ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে উখিয়া টেকনাফবাসী একটি নিরাপদ জনপদ উপহার পাবে।’
কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ জুবায়ের, হ্নীলা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দীন, হোয়াইক্যং সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহিম, সাবেক উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ তারেক, ছিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি জায়নত উল্লাহ, যুব বিভাগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জামায়াত নেতা এডভোকেট আব্দুল আমিন, সাবরাং ইউনিয়ন জামায়াতের সহ-সভাপতি মোহাম্মমদ সেলিম সিআইপি প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/জাকারিয়া/এসকে/ইএইচএম